ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

একটা মহল সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
একটা মহল সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: একটা মহল সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (০৭ মে) গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

কোনো দল বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে, দল-টল করার চেষ্টা করছে। নানা কথা বলছে, রোজই সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে। এখানে আমার একটা প্রশ্ন- তারা যে সরকারকে উৎখাত করতে চায়, আমাদের অপরাধটা কি? কোথায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি?’

এ সময় সাধারণ মানুষ দেশের উন্নয়ন বুঝলেও ‘অতিজ্ঞানী’ একটা শ্রেণি সরকারের উন্নয়ন বোঝে না মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘তারা শুধু ব্যর্থতাই দেখে। অথচ দেশের মানুষের আর্ত-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। দেশ উন্নয়নশীল, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দারিদ্র বিমোচন করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে ৪০ ভাগ ছিল আমরা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। দারিদ্রের হার এমন ভাবে কমে গেছে যেটা সারা বিশ্ব বিস্মিত হবে। ’

একটা মহল ক্ষমতায় যেতে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত বদনাম দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে বলে বেড়ায়। তাদের আকাঙ্খা বিদেশ থেকে কেউ এসে কোলে করে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। অতীতে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনকার বাংলাদেশে সেটা আর পারবে না। ’

তিনি বলেন, ‘এইটুকু বলতে পারি- যদি আমাদের সংগঠন শক্তিশালী থাকে, মানুষের আস্থা বিশ্বাস আমাদের ওপর আছে, সেটা ধরে রেখে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তবে দেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। ’

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারাটা যাতে অব্যাহত থাকে। বার বার বাংলাদেশে অনেক ধাক্কা গেছে। এই প্রথম আমরা ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে পেরেছি বলেই দেশের আর্ত-সামাজিক উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। এটা হলো বাস্তবতা। এর মধ্যে অনেক বার চেষ্টা হয়েছে, নির্বাচনের আগেও নানা খেলা খেলার চেষ্টা, নির্বাচনের পরেও। কিন্তু জনগণের সাড়া পায়নি। জনগণ যেহেতু আমাদের সাথে আছে তাই কেউ কিছু করতে পারেনি। ’

আওয়ামী লীগ সব সময় ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছে জানিয়ে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি বা কোনো মিলিটারি ডিকটেটরের পকেট থেকে তৈরি করা সংগঠনও না। এই সংগঠন মাটি মানুষের সংগঠন। কাজেই এই সংগঠন মাটি মানুষের জন্যই কাজ করে। এটা আজকে প্রমাণিত। ’

‘মানুষ যদি আমাদের ভোট না দেয়, দেবে না। আমরা আসবো না ক্ষমতায়। আমাদের তো বার বার চক্রান্ত করেই ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। কাজেই ভোটের মাধ্যমেই আমরা সব সময় ক্ষমতায় আসছি। ’

১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বপালন করে আসা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ইলেকশনে যতটুকু উন্নতি হয়েছে, এটা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, আওয়ামী লীগই করেছে, এটা আমাদেরই দাবি ছিল। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং এখন ইভিএম। অর্থাৎ মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দেবে, সাথে সাথে ভোটের রেজাল্ট পাবে। ’

টানা তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের দেশের মানুষকে যারা আমাদের বার বার ভোট দিয়েছে, বিশেষ করে পর পর তিন বার ক্ষমতায় আসার ফলে আমরা উন্নয়নটা দৃশ্যমান করতে পেরেছি। যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে, যার ফল দেশের মানুষ ভোগ করছে। তাদের জীবন যাত্রা পাল্টে যাচ্ছে। তাদের জীবন যাত্রা উন্নত হচ্ছে। এখনও যারা পিছিয়ে পড়ে আছে তাদের আমরা সুন্দর জীবন দেব। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় যেতে চান কিন্তু জনগণের ভোট চাইতে পারেন না; ভোট চাওয়ার সামর্থ্য নেই কিন্তু আকাঙ্ক্ষা আছে, তারা চাইবে এদেশের স্থিতিশীলতা ধ্বংস করতে। তারাই চাইবে এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে। কারণ সামরিক জান্তার পকেট থেকে ক্ষমতায় বসে যেসব দল গঠন হয় তারা আর যাই হোক গণতন্ত্র দিতে পারে না, গণতন্ত্র চর্চাও করতে পারে না। গণতন্ত্র তারা বোঝেও না। ’

বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
এমইউএম/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।