ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বাসাবাড়িতে চুরি: এখনও চোরের সন্ধান পায়নি পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
বাসাবাড়িতে চুরি: এখনও চোরের সন্ধান পায়নি পুলিশ

ঢাকা: হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্ট সম্পূর্ণ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। এলাকার নয়টি রাস্তাসহ প্রবেশ দ্বারগুলোও সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

বেশির ভাগ বাসাবাড়িতেও রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। অপরদিকে হাতিরঝিলসহ ওই এলাকার নিরাপত্তায় রয়েছে আলাদা একটি থানা।

এমন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা এই এলাকার একটি বাসায় ঈদের দিন গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর ওই বাসার মাস্টার বেডরুম থেকে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার ও দশ লাখ টাকার মালামাল হাতিয়ে নিয়ে যায়। আর ঘটনার পাঁচ দিনেও কোনো কূল-কিনারা করতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কে বা কারা এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে তাও শনাক্ত করা যায়নি।

তবে ঘটনাস্থলের আশপাশের সড়ক ও বাসাবাড়িতে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। যদিও এলাকার সব ক্যামেরার ফুটেজ এখনও সংগ্রহ করতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান। তারা ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের বিভিন্ন আলমত সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এছাড়াও এলাকার সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়ালি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তবে ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার নয়টি রাস্তাসহ প্রবেশ দ্বারগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। এই এলাকায় কেউ কোনো অপরাধ করলেই তা ধরা পড়বে ক্যামেরাগুলোতে। এদিকে, এলাকার গাঁ ঘেঁষেই রয়েছে থানা কার্যালয় এবং পুলিশের টহল। এত নিরাপত্তার মধ্যে চুরির ঘটনাটি অনেকটাই অস্বাভাবিক। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তদন্ত করছি। থানার একাধিক টিম কাজ করছে। পাশাপাশি এলাকার সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে চোর এখনও শনান্ত হয়নি। আশা করছি খুব শিগগিরিই ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (ঈদের দিন) রাতে মহানগর প্রজেক্টের ডি ব্লকের ৩ নং রোডের ৬/ডি নং বাসায় চুরির ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার আগের দিন (০২ মে) ওই বাসার কর্তা অ্যাডভোকেট আবরার হোসেন তার স্ত্রীসহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালে ঈদ উদযাপন করতে যান। তবে ওই বাসায় থেকে যান আবরারের বাবা আলম রায়হান।

ভুক্তভোগী আবরার হোসেন বরিশালের আঞ্চলিক সংবাদপত্র দক্ষিণের সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। তার বাবা আলম রায়হান একই পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চুরির ঘটনার পর আবরারের বাবা আলম রায়হান বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী আলম রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক রাত ১১টা ১৫ মিনিটে সব কাজ শেষ করে ঘুমাতে যাই। পরদিন ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ঘুম থেকে ওঠে দেখি পাশের ঘরটি ভেতর থেকে বন্ধ। তখন দরজা খোলার চেষ্টা করলে বুঝতে পারি ভেতর থেকে ছিটকানি দেওয়া। পরে আমি আশপাশের লোকজনদের ডাকি এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পরবর্তীতে বেলা ১১টায় বাড়ির মালিকের সহায়তায় মিস্ত্রির মাধ্যমে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি জানালার গ্রিল কাটা এবং বাসার ভেতরের সকল মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ফ্ল্যাটের মাস্টার বেডরুমের তিনটি আলমারি থেকে প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি ক্যামেরা, চারটি হাতঘড়ি ও দুটি হার্ডডিস্ক চুরি হয়ে যায়। আমার ধারণা মঙ্গলবার রাত ১১টা ১৫ মিনিট থেকে বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কে বা কারা বাসার জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে এসব জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
এসজেএ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।