ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মাগুরায় ধান কাটা শ্রমিকের চড়া মজুরি, বিপাকে চাষিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
মাগুরায় ধান কাটা শ্রমিকের চড়া মজুরি, বিপাকে চাষিরা

মাগুরা: মাগুরা সদর উপজেলার মঘির মাঠ জুড়ে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। মাগুরা-যশোর মহাসড়কের দুই পাশে যতদূর চোখ যায় দেখা মেলে শুধু সোনালি পাকা ধান।

চলতি বোরো মৌসুমে পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কয়েকদিন ধরে সারাদেশে বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি শ্রমিকের চড়া মজুরির কারণে পাকা ধান ঘরে তুলতে বিপাকে পড়েতে হয়েছে তাদের।

মঙ্গলবার (১০ মে) সরজমিনে মঘির মাঠ ঘুরে দেখা য়ায়, কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তুলছেন। কাটা ধান কেউ মাথায় করে আবার কেউ ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে বলেই এ পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন চাষিরা।

মাগুরা সদর উপজেলা মঘি গ্রামের কৃষক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকটা শঙ্কা নিয়েই দ্রুত ধান মাড়াই করতে হচ্ছে। তাছাড়া এই ধানের ওপর নির্ভর করে সারা বছরের সংসার খরচ চলে।

একই গ্রামের কৃষক খোকন মোল্ল্যা বলেন, উঠতি বোরো ধান নিয়ে বড়ই দুশ্চিতায় রয়েছেন কৃষকরা। সারাদেশে সবাই একই সময়ে পাকা ধান ঘরে তোলার কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। একজন শ্রমিকের মূল্য প্রায় ১ হাজার টাকা। তারপরেও পাওয়া যাচ্ছে না।

একদিকে যেমন ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, অন্য দিকে ধানের দাম কম। বাজারে ভালো ধানের দামও মণ প্রতি ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। যেখানে এক বিঘা জমি চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। আবার শ্রমিকেরও মজুরি চড়া।

তিনি আরও বলেন, বাজারে ধানের দাম কম থাকায় লোকসানের আশঙ্কা করছি। ধানের দাম যদি মণ প্রতি ১২শ থেকে ১৫শ টাকা হয়, তাহলে কৃষকের লাভ হবে। অন্যথায় এ ধান চাষে লোকসান হবে বলে জানান তিনি।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. হায়াত মাহামুদ বলেন, জেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই ধান কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে। যেখানে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ১৫০ হেক্টর। ইতোমধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।  

কৃষকদের আধুনিক যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতিতে মাঠ থেকে ধান কেটে ও মাড়াই করে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছি। আশা করছি বৈরী আবহাওয়ায় যদি বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হয়, তাহলে কৃষকরা ধানের ন্যায় মূল্য পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
এফআর/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।