ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

ইভিএমে ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না: জিএম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
ইভিএমে ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না: জিএম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে নিরক্ষরতার জন্য নির্বাচনে নামের পাশে প্রতীক ব্যবহার করতে হয়। কারণ সবাই প্রার্থীর নাম পড়ে ভোট দিতে পারেন না।

এমন বাস্তবতায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইভিএমের নির্বাচনে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না, কারণ ব্যালট পেপার থাকে না। ভোটিং মেশিন যে রেজাল্ট দেবে, তাই ঘোষণা হবে। বিষয়টি হচ্ছে- দেশের মানুষকে চাঁদে পাঠাতে চাচ্ছে সরকার। কিন্তু সেখানে বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে গণতন্ত্রের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না।

গণতন্ত্র রক্ষায় নেতাকর্মীদের লড়াই অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়ে জিএম কাদের বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, একদলীয় স্বৈরশাসন চালু হয়েছে। সংবিধান কাটাকাটি করে স্বৈরতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে সাংবিধানিক স্বৈরশাসন চলছে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা অনেক নেতা ও তাদের সৃষ্ট রাজনৈতিক দল সুশাসনের নজির স্থাপন করে জনগণের কাছে নন্দিত হয়েছেন। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে সুশাসন ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছিলেন। তাছাড়া এখন আমরা যারা রাজনীতি করছি, তারা কেউই ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসিনি।

জিএম কাদের বলেন, ১৯৯০ সালে পল্লীবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা আর অপবাদ দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে অপচেষ্টা করা হয়েছে। তখন বলা হয়েছিল স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। কিন্তু পল্লীবন্ধু ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে গণতন্ত্র নিপাত গেছে আর স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বলেছেন, দেশে কোনো বেকার নেই। অথচ দেশে বেকারের সংখ্যা পাঁচ কোটি। যারা দেশের বেকারত্ব বোঝে না, তারা মানুষের কষ্টও বোঝে না। যারা মানুষের কষ্ট বোঝে না, তাদের দেশ পরিচালনার অধিকার নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু। আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক ও সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এসএমএকে/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।