ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বান্দরবানের থানচিতে বাড়ছে ডায়রিয়া, ১ সপ্তাহে ৮ জনের মৃত্যু

কৌশিক দাশ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
বান্দরবানের থানচিতে বাড়ছে ডায়রিয়া, ১ সপ্তাহে ৮ জনের মৃত্যু

বান্দরবান: বান্দরবানে থানচি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৫ জুন) সকালে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রুসহ স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় ভর্তি হওয়া রোগীদের পরিদর্শন করেছেন।

গত ৬ জুন থেকে থানচি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দুরের এ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন নারিচ্যা পাড়ায়। এছাড়া ইয়ংনং পাড়া, উছোমং পাড়া, চিংসং পাড়া ও মেনতাং পাড়ায়ও ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

নদী ও ছড়ার দূষিত পানি পান করার কারণে এসব পাড়ায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন রেমাক্রি ইউপি চেয়ারম্যান মুইসুইথুই মারমা। তিনি জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত পাড়াগুলো অত্যন্ত দুর্গম। মিয়ানমারের সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছাড়া সেখানে যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই। এছাড়া মোবাইল নেটওর্য়াক না থাকায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন সেটি জানতে পারাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে এ খবরে দুর্গম এলাকাগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকটি চিকিৎসক দল স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। আক্রান্তদের ওরস্যালাইন, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আক্রান্তদের অনেকেই থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী বাংলানিউজকে জানান, বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট ও স্বাস্থ্যসস্মত স্যানিটেশনের অপ্রতুলতার কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীরা সেবা প্রদানের জন্য কাজ করছেন।

পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থানচির রেমাক্রী ও আন্ধারমানিক এলাকায় গত এক সপ্তাহে এ পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি গুরত্ব সহকারে তদারকি করা হচ্ছে। ডায়রিয়া প্রকোপ এলাকাগুলোর প্রাইমারি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প বসিয়ে আক্রান্তদের সেবা ও সকল প্রকার ওষুধ সরবহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।