ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নওগাঁয় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে টোল আদায়ের অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
নওগাঁয় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে টোল আদায়ের অভিযোগ

নওগাঁ: নওগাঁয় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাক আটকিয়ে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন সাপাহার আম বাজারের আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১৯ জুন) রাতে সাপাহার সদর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দিবর গেট সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ীরা এ অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সাপাহারের আম আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সাহার বাংলানিউজকে জানান, ভরা মৌসুমে জমজমাট হয়ে উঠেছে আমের বানিজ্যিক রাজধানী নওগাঁর সাপাহারের আমের বাজার। প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকছে বাজার। ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা,যশোরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আম কিনতে আসছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাক আম সরবরাহ করা হচ্ছে এসব স্থানে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আম বোঝাই এসব ট্রাক রাত ৯টার পরে এখান থেকে ছেড়ে যায় গন্তব্যের উদ্দেশে।

এভাবে সবকিছুই ঠিকঠাকই চলছিল। আড়ৎদাররা নিজেরাই প্রতিদিন খাজনার টাকা উঠিয়ে ইজারাদারদের দিয়ে আসতেন। কিন্তু হঠাৎ করে শনিবার 
(১৮ জুন) বিকেল থেকে সেই কার্যক্রমের ছন্দপতন ঘটে। ইজারাদারের লোকজন বাজার এলাকা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দিবরের গেট নামক স্থানে চেয়ার টেবিল বসিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাক আটকিয়ে টোল আদায় শুরু করেন। এর প্রতিবাদে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে টোল আদায়ের স্থানে শত শত ব্যবসায়ী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

তিনি আরও বলেন, এভাবে খাজনা আদায়ের ফলে সড়কে বিসৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি আম বোঝাই ট্রাকগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সময়মতো বাজার ধরতে না পারায় ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতি মুখে পড়ছেন। তাই দ্রুত এমন সিদ্ধান্ত বাতিল করে বাজারে খাজনা আদায়ের দাবি জানান তারা।

এদিকে চলতি অর্থ বছরে সাপাহারের হাট ইজারা নেন হাজের আলী নামে এক ব্যক্তি। পরে তিনি সাব-ইজারা হিসেবে স্থানীয় মিজানুর রহমানসহ প্রায় ২০ জনের নামে বাজার দিয়ে দেন।

এমন অভিযোগের বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, বিধি মেনেই আম বাজারের টোল আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা প্রকৃত আম ক্রেতাদের কাছ থেকে যে পরিমান টাকা আদায় করেন, সেই পরিমান টাকা তারা তহবিলে জমা দেন না। তাই বাধ্য হয়ে এভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী-ইজারাদারদের নিয়ে বসে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।