ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন ও সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নান্নু ফকির (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনার মামলায় রুপাপাত ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানসহ চারজনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ জুন) বিকেলে আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল বলেন, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ বাকিরা পাঁচ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। পরে সোমবার সকাল ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে হাজির হয়ে তারা আবারও জামিন আবেদন করেন। পরে জামিন নামঞ্জুর করে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জর্জ আলী আকবর শেখ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে প্রেরণকৃত অন্য আসামিরা হলেন, মুরাদ মোল্যা, সানোয়ার মোল্যা ও সাদি নামে এক ব্যক্তি।
এ সময় একই মামলায় চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত মিলু মোল্যা ও মারুফ মিয়া নামের অপর দুইজনকে জামিন দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ২৭ এপ্রিল রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন ও সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে নান্নু ফকির (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ সময় আহত হন অন্তত ১৫ জন।
নিহত নান্নু ফকির সালথা উপজেলার যদুনন্দী গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের ঘটনায় পরে রুপাপাত ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানসহ আরও কয়েক জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এফআর