ঢাকা, শনিবার, ২২ ভাদ্র ১৪৩১, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইউপি সদস্য হত্যা: চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ১৬ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
ইউপি সদস্য হত্যা: চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ১৬ জনের নামে মামলা

নরসিংদী: শত্রুতার জেরে নরসিংদীতে প্রকাশ্যে সাবেক ইউপি সদস্য সুজিত সূত্রধরকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হাজিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে নিহতের ছেলে সুজন সূত্রধর বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- হাজিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইফসুফ খান পিন্টু (৫৫), তার ভাই মনিরুজ্জামান খান (৪৫), বদর উদ্দিন সরকার (৬০), কাওছার মাহবুব (৩৫), ফেরদৌস সালাউদ্দিন (৩৫), তৌহিদ আক্রাম (৩০), তানভীর সরকার (৩০), রাকিব সরকার (৩২), মামুন মোল্লা (৩৮), দেলোয়ার হোসেন (৩২), তারেক মিয়া (২৫), আকবর মিয়া (২৫),আজমল সরকার (৫০), মাসুম (২৬), শিমুল মাহমুদ (২৪) ও সোহাগ মিয়া (২৫)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুসহ আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের কারণে মেম্বার সুজিত সূত্রধর একাধিক মামলা দায়ের করেন। যার কারণে আসামিরা সুজিত সূত্রধরকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যার পর ইউপি সদস্য সুজিত সূত্রধর বাড়ি থেকে হাজিপুর কাঠবাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। দোকানে ছেলের সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। রাত ৮টার দিকে স্থানীয় হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পিন্টুর নির্দেশে তার ভাই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাবেক সুজিত সুত্রধরের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা সুজিত মেম্বারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। নিহতের ছেলে সুজন সূত্রধর ও দোকানের কর্মচারীরা তাদের বাধা দিতে এগিয়ে গেলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করে। ওই সময় তাদের চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে আহত সুজিত মেম্বারকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, সুজিত মেম্বারকে হত্যার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি মাসুম, শিমুল ও সোহাগকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও রক্তমাখা কাঠ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি পিন্টু চেয়ারম্যানসহ বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।