ময়মনসিংহ: বোনের সঙ্গে প্রেম করার অভিযোগে খুন করা হয়েছে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কিশোর অটোরিকশাচালক আব্দুস সামাদকে (১৫)।
লাশ উদ্ধারের মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও এ হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বুধবার (০৬ জুলাই) দুপুরে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার দাদরা এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে রবিন মিয়া (১৯), তার বড় ভাই রোহান মিয়া (২৪), একই উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯) ও পঙ্গুয়াই গ্রামের মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)।
এর আগে মঙ্গলবার জেলার ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত রবিন মিয়া ও অটোরিকশাচালক আব্দুস সামাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই সুবাদে আব্দুস সামাদ প্রায়ই রবিনের বাড়িতে যাতায়াত করত। এতে রবিনের ছোট বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুস সামাদকে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন রবিন। এরপরই আব্দুস সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রবিন ও তার ভাই রোহান।
ডিবির ওসি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে আব্দুস সামাদের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাফেরা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে যান রবিন, রোহান ও নাঈম।
সেখানে ঝোপের আড়ালে আগেই ওত পেতে ছিলেন শাহীনসহ আরও দু’জন। আব্দুস সামাদকে সেখানে নেওয়ার পর প্লাস্টিকের রশি ও জালের টুকরো গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে দেন তারা।
পরদিন মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে স্কুলের পাশে অটোরিকশা দেখে আশপাশে আব্দুস সামাদকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন স্থানীয় লোকজন। এর একপর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে তার মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার পর ওই দিন নিহত আব্দুস সামাদের বাবা শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
এসআই