ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বুলবুল হত্যা: আটক আরও ২, মোবাইল-চাকু উদ্ধার

সিনিয়র ও শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
বুলবুল হত্যা: আটক আরও ২, মোবাইল-চাকু উদ্ধার উদ্ধার মোবাইল ও চাকু

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্র বুলবুল আহমেদ (২২) হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর তিন জনকে আটক করা হলে তাদের একজন হত্যায় সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে আরও দুইজনের নাম প্রকাশ করে।

 

পরে ওই দুইজনকে আটক এবং কামরুল নামে আটক একজনের বাসা থেকে চাকু এবং বুলবুলের মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।  

আটকরা হলেন- মো. কামরুল আহমেদ (২৯)।  তিনি সিলেট জেলার এয়ারর্পোট থানার, টিলারগাঁও গ্রামের মো. গোলাব আহমেদের ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রী। দ্বিতীয় জন মো. হাসান বয়স (১৯)। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা মৃত তছির আলীর ছেলে। তিনি পেশায় অ্যাম্বুলেন্সের হেলপার কাম রাজমিস্ত্রী। অপরজন মো. আবুল হোসেন (১৯)।  তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা  আনিছ আলীর ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রী। বাকি দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
 
বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল সোয়া ১১টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
 
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তিনজনকে আটক করা হলে তাদের একজন এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং এ ঘটনায় জড়িত আরও দুইজনের নাম জানায়। পরে তাদের ঘটনাস্থল গাজীকালু টিলার পাশে থেকে আটক করা হয়।   
 
তবে স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে ক্যাম্পাসের গাজীকালু টিলা সংলগ্ন এলাকায় চাকু ও মোবাইল উদ্ধারকালে আরও দুইজনকে আটক করা হয়। আগে আটকদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট একজনের তথ্যমতে তাদের আটক করে পুলিশ।  
 
এদিকে সোমবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে পালানো, মোবাইলের কললিস্ট মুছে (ডিলিট) বিতর্কের জন্ম দেন হত্যাকাণ্ডে সময় উপস্থিত থাকা মার্জিয়া আক্তার ঊর্মি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে সে পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়, হত্যাকাণ্ডে মাস্ক পরিহিত তিনজন অংশ নেয়। তবে ঊর্মির সংশ্লিষ্টতার আছে কিনা, খতিয়ে দেখতে তাকেও নজরবন্দি রাখা হয়েছে।
 
গত সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের সিরাজুন্নেছা হল সংলগ্ন গাজীকালুর টিলায়  ‍ছুরিকাঘাতে খুন হন বুলবুল আহমদ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নিহতের বান্ধবী মার্জিয়া আক্তার ঊর্মি।  
 
নিহত বুলবুল আহমদ নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার নন্দীরপাড়ার চিনিশপুরম গ্রামের ওয়াহাব মিয়ার ছেলে। তিনি শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থী ছিলেন।  
    
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
এনইউ/এসআরএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।