ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রাবণের বৃষ্টিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
শ্রাবণের বৃষ্টিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

নওগাঁ: আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টিতে মুখরিত থাকে ফসলের মাঠ। সেখানে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

তবে এবারে অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। চলতি মৌসুমে আষাঢ়ের বৃষ্টি নেমেছে শ্রাবণে। ফলে রোপা আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব দিতে হয়েছে।

তীব্র তাপদাহের পর গত দু'দিন থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আষাঢ়ের বৃষ্টি এসেছে অনেক দেরিতে। ফলে ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারেননি অনেক কৃষক। কিন্তু কিছুটা দেরি হলেও এখন বৃষ্টির পানি পেয়ে মাঠেগুলোতে পুরোদমে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকের।

জেলার বদলগাছী উপজেলার কীর্তিপুর গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, রোপা আমন চাষে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। মৌসুমের শুরু থেকে কোনো বৃষ্টি হয়নি। ফলে কৃষকরা মাঠে নামতে পারেননি। মাত্র কিছুটা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মাঠে মানতে শুরু করেছি। অনেকে সেচের মাধ্যমে আগেই ধান রোপণ শুরু করেছেন। তবে বৃষ্টির পানি ছাড়া এ ফসল চাষ করা সম্ভব না।

একই এলাকার কৃষক মোকছেদুল রহমান জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই অনাবৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক ধানের বীজতলা রোপণ করতে পারেননি। ফলে ধান রোপণে অনেকটা বিলম্ব হবে তাদের। দু'দিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এটা ধান রোপণের জন্য যথেষ্ট নয়। আরও বৃষ্টি হতে হবে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মনজুরে মাওলা বাংলানিউজকে জানান, রোপা আমন একটি বৃষ্টি নির্ভর ফসল। এ বছর বৃষ্টি দেরিতে শুরু হওয়ায় কৃষকদের সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি নিয়ে ধান রোপণ করতে বলা হয়েছে। সামনে বৃষ্টির হওয়ার একটা ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। এবারে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, আশা করছি তা পূরণ হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এ মৌসুমে নওগাঁ জেলায় এক লাখ ৯২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষমাত্রা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।