ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

অকারণে লাইট জ্বালানোর দরকার নেই: শামীম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
অকারণে লাইট জ্বালানোর দরকার নেই: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা চাল উৎপাদন করি। হয়তো খাদ্যের সংকট হবে না।

গম ভুট্টা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এখন যদি গম না পাই, গম ভুট্টার মূল্য যদি বেড়ে যায় এর প্রভাবে গরুর দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের দাম বাড়বে। আমাদের এখন এক খণ্ড জমি ফেলে রাখার সময় না। কোনো জিনিস অপচয় করার সময় না। বিনা কারণে এক মিনিটও লাইট জ্বালানোর দরকার নেই।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে নগরীর চাষাঢ়া টাউন হলে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

 শামীম ওসমান বলেন, সারা বিশ্ব কঠিন একটা সময় পার করছে। আজকে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এর কারণে আমরা উঠতি দেশ উন্নত দেশগুলোরই যখন ত্রাহি অবস্থা তখন শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন সময়েই একদল লোক বলছেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, তারা কী খুশি। এটা হলে মানুষ হিসেবে তো খুশি হওয়া উচিত না। দেশটা ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো।

তিনি বলেন, জার্মানে চেম্বার অব কমার্সের লোকজনদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম তোমরা বিশ্ব যুদ্ধের পরেও নিজেদের উঠিয়ে নিয়ে আসলে কেমন করে। তারা বললো আমরা যুদ্ধের পর যখন ক্ষতবিক্ষত তখন ঠিক করেছিলাম দুটো রুটির জায়গায় একটা রুটি খাবো। আরেকটা রুটি পরবর্তী জেনারেশনের জন্য সেভ করে রাখব। সেই জার্মান আজ ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমি মনে করি আমাদেরও এটা চিন্তা করতে হবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি। এর মেইন সোলজার হবে ইয়াং জেনারেশন যারা সব আন্দোলন করেছে। তাদেরই করতে হবে। কারণ তারাই এখন যোদ্ধা।

তিনি বলেন, সাড়ে চার কোটি তরুণ যদি একটি করে ভালো কাজ করেন তাহলে এ দেশকে কেউ রুখতে পারবে না।

শামীম ওসমান বলেন, আমি সেদিন ডেমরা দিয়ে যাচ্ছিলাম। প্রায় ২০ কিলোমিটার লম্বা লাইন। গাড়ি থামিয়ে দেখলাম টোকেন দিচ্ছে। একজন নারী দেশটাকে দাঁড় করানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন আরেকজন এখানে টোকেন তুলছেন। আমরা হলে আমাদের বিরুদ্ধে যান, আওয়াজ তুলুন। কে কোনো দল করেন সেটা বড় না, কে ভালো মানুষ সেটা বড় কথা।

তিনি বলেন, এক সময় এই শীতলক্ষ্যার পানি খেয়েছি এত পরিষ্কার ছিল। আজ এ পানিতে মাছ কেন সাপও হয় না। আমরাই এগুলো নষ্ট করেছি। আমাদের এটা পরিবর্তন করতে হবে। আজ দুবাইয়ে গিয়ে দেখেন কীভাবে গ্রিন দুবাই হয়ে গেছে। আমরা তাহলে এমন হয়ে যাবো কেন। এখন অনেকেই ছাদে গাছ লাগায়। এ গাছ কিন্তু ফলন দেয়। এটা আপনাকে অনেক কিছুই রিটার্ন দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
এমআরপি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।