ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ছুরিকাঘাতে হার্ট ছিদ্র হয়ে যায় বুলবুলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
ছুরিকাঘাতে হার্ট ছিদ্র হয়ে যায় বুলবুলের

সিলেট : ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে হার্ট ছিদ্র হয়ে গিয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বুলবুল আহমদের। বুকে আঘাত করার পর ছুরিটি তার আর্ট ভেদ করে যায়।

এ ছাড়া বুলবুলের পিঠে, ডান হাতের বাহুতেও আঘাত করা হয়।

ময়নাতদন্তের পর এসব তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, বুলবুলের মৃত্যুর জন্য তার বুকের আঘাতের কারণেই হয়েছে। ছুরির আঘাতে তার হার্ট ছিদ্র হয়ে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে বুলবুলের মৃত্যু হয়। তার পিঠে ও বাহুতে যে আঘাত করা হয়ে, সেগুলোও গুরুতর ছিল।    

গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) নিহত শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুল আহমদের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। পরে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুলিশকে দেওয়া হবে।

এর আগে গত গত সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গাজিকালু টিলায় বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় (২০১৮-১৯ সেশন) বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমদ (২২)। তিনি নরসিংদী সদরের চিনিশপুরম থানার নন্দিপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা মো. ওহাব মিয়ার ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে ২২৮ নম্বর রুমে বসবাস করতেন বুলবুল। জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে।

এ ঘটনায় সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও।

বুধবার (২৭ জুলাই) বুলবুল খুনের রহস্য উদঘাটন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসএমপি পুলিশ। এসএমপির উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, বুলবুল হত্যার ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই মঙ্গলবার ভোরে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিলারগাঁও এলাকার বাসিন্দা বরিশাল জেলার বাঘাইল আটগল জারা গ্রামের জিন্নাত আলী মৃধার ছেলে ইব্রাহিম খলিল (২৭), সিলেট সদরের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন টিলারগাঁওয়ের লিলু মিয়ার ছেলে শরিফ (১৮) ও একই এলাকার আনিছ আলীর ছেলে আবুল হোসেন (১৯)।

পরে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত টিলারগাও এলাকার গোলাব আহমদের ছেলে কামরুল আহমদ (২৯) ও একই এলাকার মৃত তছির আলীর ছেলে মো. হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে আবুল হোসেন পুলিশের কাছে হত্যার বর্ণনা দেয় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বুধবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক গ্রেফতারকৃত শরীফ ও ইব্রাহিমের হত্যায় কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
এনইউ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।