ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দ্বিতীয় দিনের মতো টিসিবির পণ্য বিক্রি চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২২
দ্বিতীয় দিনের মতো টিসিবির পণ্য বিক্রি চলছে ছবি: জি এম মুজিবুর 

ঢাকা: সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। পুরো অগাস্ট মাসজুড়ে চলা এই কার্যক্রমে প্রথমবারের মতো কেবল কার্ডধারীরাই পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

এর আগে দেশব্যাপী ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির এক নির্দেশনা জারি করে টিসিবি। টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১ অগাস্ট থেকে এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মঙ্গলবার সকালে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এবারে সারাদেশে কার্ডধারী এক কোটি উপকারভোগী পরিবার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ) সংগ্রহ করতে পারছেন। ভোক্তা পর্যায়ে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল (প্রতি কেজি ১১০ টাকা দরে), দুই কেজি মসুর ডাল (প্রতি কেজি ৬৫ টাকা দরে) এক কেজি চিনি (প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে) ও দুই কেজি পেঁয়াজ (প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে) কিনতে পারছেন।

তবে, উপকারভোগীরা বলছেন প্রয়োজনের তুলনায় এই পরিমাণ পণ্য অপ্রতুল। তেঁজগাও এলাকায় টিসিবির পণ্য কিনতে আসা আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার পরিবারের সদস্য ৬ জন। ২ ছেলে, ২ মেয়ে এবং আমার স্ত্রী। এই পণ্যে আমাদের ৩-৪ দিন যাবে। যদি আরেকটু বেশি পরিমাণে পেতাম, উপকার হতো।

সেলিনা বেগম নামে কার্ডধারী অপর এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমার স্বামী রিকশা চালান। তাই এই পণ্য কিনতে এসেছি। যদি, তেল, ডাল আরেকটু বাড়িয়ে দিত, কয়টা দিন নিশ্চিন্তে চলা যেত।

তবে, কার্ড সিস্টেম হওয়ায় অন্যান্য সময়ের মতো মানুষের ভিড় দেখা যায়নি বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে।

টিসিবির তেজগাঁও গুদামের স্টোর ইনচার্জ মো. জামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ বিক্রয় কার্যক্রম ডিলারের দোকাননির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও তাদের নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে।

প্রসঙ্গত, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহে টিসিবির ‘ট্রাক সেল’ কর্মসূচি বন্ধ করে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় পণ্য বিক্রির এই নতুন কার্যক্রম জুনে শুরু করার কথা থাকলেও সেটি জুনে না হয়ে অগাস্ট মাস থেকে শুরু করে টিসিবি।

এই কার্যক্রমের অধীনে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে দেশের এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আর ঢাকায় ১৩ লাখ মানুষ সেই কার্ড পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২২
এমকে/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।