ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘প্রেমের মড়া’ প্রেমকান্ত তামিলনাড়ু ফেরার আগে সাক্ষাৎ চান প্রেমিকার!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২২
‘প্রেমের মড়া’ প্রেমকান্ত তামিলনাড়ু ফেরার আগে সাক্ষাৎ চান প্রেমিকার!

বরিশাল: প্রেমের টানে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বরিশালে আসা প্রেমকান্ত আরেকবার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে চান। হঠাৎ আড়ালে চলে যাওয়া প্রেমিকাকে বোঝাতে চান তার ভালোবাসার সততার কথা।

স্থানীয় এক যুবকের হাতে মারধরের শিকার হয়েও প্রেমিকার শহর ছাড়েননি তিনি।

তিনি এখন বরিশালের বিভিন্ন জায়গায় প্রেমিকাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মানুষের সাহায্য চাচ্ছেন, যেন কোনোভাবে একবার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। দেখতে পারেন প্রেমিকার বরগুনার তালতলীর গ্রামের বাড়ি।

প্রেমকান্ত বলেন, আমার ভালোবাসা শতভাগ খাঁটি। আমি কোনোকিছুর জন্য তাকে ভালোবাসিনি। আমি খারাপ মানুষ নই। ভালোবাসি বলেই সেই তামিলনাড়ু থেকে বরিশালে এসেছি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ তিন বছরের প্রেমের সম্পর্কে বহুবার ভিডিও কলে কথা হয়েছে তার সঙ্গে। ভালোবাসার মানুষটির গাইডলাইন অনুসরণ করে অচেনা দেশ বাংলাদেশে আসি। কষ্ট করে এসেছি অচেনা এই বরিশাল শহরে। কলেজের পরীক্ষা শেষ করে এই বরিশাল শহরেই প্রথমবারের মতো আমার সঙ্গে দেখা করে ভালোবাসার মানুষটি। তখন সে আমার বেশ প্রশংসা করেছে, আমি দেখতে সুন্দর তাও বলেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই মানুষটি আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করছে না। কিন্তু কেন? তাদের দুই পরিবারের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো দাবি করে ‘লুকোচুরি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রেমকান্ত।  

তিনি বলেন, গত ২৪ জুলাইয়ের পর থেকে হোটেল এরিনা, হান্ডি কড়াই, বঙ্গবন্ধু উদ্যানসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হয়েছে। প্রথম দিকে তার (প্রেমিকা) বন্ধুরাও সঙ্গে ছিলো। পরে দুজন একটু একাকি সময় অতিবাহিত করতে কথোপকথনের জন্য ভালোবাসার মানুষটির কথায় অটোরিক্সা করে নগরীর কাশিপুরের দিকে যাচ্ছিলাম। কাশিপুর চৌমাথা এলাকা পৌঁছালে চয়ন হাওলাদার নামে একটি ছেলে হঠাৎ আমাকে বেধম মারধর করে। তখন আমার মনে হয়েছিলো তারা হত্যার উদ্দেশ্যেই আমাকে মারধর করছে। ওইসময় আমাকে ভালোবাসার মানুষটি বুঝিয়েছে, চয়ন হাওলাদার খারাপ মানুষ তাও বলেছে। যদিও পরে বুঝতে পারি চয়নও আমার ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসে। তবে তা একপাক্ষিক।

তিনি জানান, এরপর হামলার বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় গেলে তারা এয়ারপোর্ট থানায় পাঠায়। সেখানে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও পুলিশ হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনেনি। বরং তাকে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে বলেছে।

যদিও ওইসময় ভারতীয় হাই কমিশন থেকেও প্রেমকান্তকে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি মনকে কোনোভাবে বোঝাতে পারেননি, তাই বরিশালে রয়ে গেছেন। তিনি আরেকবার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চান।  

বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে অবগত হয়ে তিনি বলেন, ভালোবাসার মানুষটির বয়স সাড়ে ১৭ বছরের মতো, এ মুহুর্তে আইন অমান্য করে আমি তাকে বিয়ে করতে চাইনা। শুধু একবার তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। সে কি কারণে অভিমান করে হঠাৎ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে না তা জানতে চাই।

সেই সঙ্গে আবেগী প্রেমকান্ত ধনী-গরীবের বিভেদ ভূলে ভালোবাসার মানুষের গ্রামের বাড়িও ঘুরে দেখতে চান। এজন্য তিনি বরগুনার তালতলীতে যেতে চান।  

এসময় তিনি তার প্রেমিকার নাম বললেও সেটি সংবাদে উপস্থাপন না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এতে ভালোবাসার মানুষটি আরও ক্ষিপ্ত হবে। তাকে কষ্ট দিতে চাই না কিংবা সে সামাজিকভাবে হেয় হয় তাও চাই না। তবে দুঃখ একটাই আমার নাচ দেখে মুগ্ধ হয়েই সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে, আমাকে ভালোবাসতে শুরু করে।

তিনি দাবি করেন বরগুনার তালতলীর এক প্রভাবশালী লোকের কারণে ভালোবাসার সেই মানুষটির পরিবার তার সঙ্গে দেখা করেনি, আবার পুলিশও তার ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তবে তার কথাগুলো শুনেছে পুলিশ।

>> আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে দেখতে তামিলনাড়ুর ছেলে বরিশালে

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এমএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।