নাটোর: দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা সিমেন্ট সেক্টরের চিফ মার্কেটিং অফিসার খন্দকার কিংশুক হোসেন বলেছেন, সিমেন্টের জগতে গুণে ও মানে সেরা বসুন্ধরা সিমেন্ট। নতুন প্রযুক্তি ও উন্নত কাঁচামালের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত এই সিমেন্ট দিয়ে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বৃহৎ অবকাঠামোসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
দেশের বৃহত্তম স্থাপনা পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার হয়েছে শতকরা ৮৫ ভাগ। আর বাংলাদেশের আইকন প্রকল্প মেট্রোরেলের সব স্থাপনায় বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে শতভাগ।
রোববার (২৮ জুন) দুপুর ১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের কানাইখালি এলাকায় সাহারা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা সিমেন্ট ও বীর সিমেন্টের হালখাতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
স্থানীয় পরিবেশক মেসার্স সঞ্জয় ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী গোবিন্দ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এসময় আলোচনা সভা ও বিক্রেতাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক রিটেইলার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কিংশুক হোসেন আরও বলেন, দেশে বিভিন্ন মাল্টি ন্যাশনাল ও বিদেশি কোম্পানির বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কাজে কোথাও কোথাও শতভাগ এবং কোথাও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বসুন্ধরা সিমেন্ট সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গুণগত মান ভালো থাকায় মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অনেকাংশ বেড়েছে বলেই তাদের স্বপ্নের বাসস্থান গড়তেও বসুন্ধরা ও বীর সিমেন্ট ব্যবহার করছেন। দেশে বসুন্ধরা সিমেন্টের চাহিদা অনেকাংশে বেড়েছে বলে তিনি যোগ করেন।
হালখাতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সিমেন্ট সেক্টর বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা সিমেন্টের ডিজিএম সেলস (ওয়েস্ট জোন) মো. পলাশ আক্তার, বীর সিমেন্টের এজিএম সেলস (ওয়েস্ট জোন) মো. আশিক আহমেদ, বীর সিমেন্টের (কর্পোরেট সেলস) ওয়েস্ট জোন ইনচার্জ ও আর সিদ্দিকী, বসুন্ধরা সিমেন্টের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমানসহ বসুন্ধরা গ্রুপ সিমেন্ট সেক্টরের অন্যান্য কর্মকর্তা।
এছাড়া বসুন্ধরা সিমেন্টের দুই শতাধিক বিক্রেতা ও ক্রেতা হালখাতায় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিমেন্টের সেরা ১০ বিক্রেতাকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
এর মধ্যে বসুন্ধরা সিমেন্টের সেরা ও সর্বোচ্চ বিক্রেতা হিসেবে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছি এলাকার মেসার্স মোজাম্মেল হার্ডওয়্যার্সের মালিক মো. মোজাম্মেল হোসেনকে প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি ফ্রিজ দেওয়া হয়। এছাড়া উপস্থিত সব বিক্রেতাকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়।
বসুন্ধরা সিমেন্টের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হালখাতা সুন্দর ও সার্থকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। হালখাতা চলাকালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি মিলনমেলায় পরিণত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের এই হালখাতার আয়োজনে ক্রেতা-বিক্রেতারাও বেশ খুশি এবং বসুন্ধরা গ্রুপকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশক ও বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
আরএ
