ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আসামি ধরার নামে টাকা আদায় করতে গিয়ে ধরা ভুয়া পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
আসামি ধরার নামে টাকা আদায় করতে গিয়ে ধরা ভুয়া পুলিশ

ঢাকা: অনলাইন থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) ডাউনলোড করে তার উপরে মনমতো আসামির নাম লিখে যেতেন তাকে ধরতে। গায়ে পুলিশের জ্যাকেট, হাতে ওয়াকিটকি আর কোমরে পিস্তল রেখে পুলিশের স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলে চলাফেরা করতেন।

আসামির কাছে গেলেও গ্রেফতার না করে চাইতেন মোটা অঙ্কের টাকা। আদতে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করাই পেশা পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া শাকিল হোসেনের (৩০)।

সর্বশেষ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন শ্যামলীর ‘কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের’ মালিকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে ব্যবসার ক্ষতি করা হবে বলেও হুমকি দেন ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা শাকিল।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় থানা পুলিশকে খবর দেন রেস্টুরেন্ট মালিক। শেরেবাংলা নগর থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুয়া পুলিশ শাকিলকে গ্রেফতার করে।  

এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি পুরাতন ওয়াকিটকি, একটি পিস্তলসদৃশ গ্যাস লাইটার, পুলিশের লোগো ও অভিযুক্তের ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড, একটি গ্রেফতারি ওয়ারেন্টের ফটোকপি, একটি এটিএম কার্ড, একটি নীল ও কালো রঙয়ের রোডমাস্টার লেখা মোটরসাইকেল যার সামনে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগানো, একটি নেভি ব্লু রঙয়ের স্লিভলেস জ্যাকেট যার সামনে ডান পাশে বাংলাদেশ জেল ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মনোগ্রাম সংবলিত ও একটি লাল রঙয়ের হাফহাতা গেঞ্জি জব্দ করা হয়েছে।  

শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রুবাইয়াত জামান।

তিনি বলেন, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) শ্যামলী কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে এক ব্যক্তি গিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ব্যবসার ক্ষতি করা হবে বলে হুমকিও দেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে প্রতারক শাকিলকে গ্রেফতার করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।

গ্রেফতার শাকিল পুলিশ অফিসার পরিচয়ে ওই রেস্টুরেন্টের মালিক আব্দুর রহমানের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধার জন্য ৫০ টাকা দাবি করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এডিসি রুবাইয়াত বলেন, শাকিল ইন্টারনেট থেকে ওয়ারেন্ট ডাউনলোড করে তাতে কলম দিয়ে আসামির নাম লিখে যেতেন আসামি ধরতে। আসামি ধরার নাম করে দাবি করতেন মোটা অংকের টাকা।

তিনি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পুলিশ পরিচয়ে লোকজনের কাছে থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার শাকিল কতজনের কাছ থেকে কত টাকা হাতিয়েছে পরবর্তি জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
পিএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।