হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের বাসিন্দা ছালেকা খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছেন। তিনি ভূমি ও গৃহহীন, তার জোটেনি একটি সরকারি বয়স্ক ভাতার কার্ডও।
স্থানীয়রা জানান, মকবুল হোসেনের বসতভিটে ছাড়া নিজের কোনো জায়গা-জমি ছিল না। সামান্য আয়-রোজগারে সংসার চলত। তাদের তিন ছেলে-মেয়ে থাকলেও তারা বাবা-মায়ের দেখাশোনা করতেন না।
এদিকে বৃদ্ধ স্বামীর আয়-রোজগার না থাকায় শেষ বয়সে বিক্রি করে দিতে হয় ভিটেমাটিও। তারা হয়ে যান ভূমিহীন। কিছুদিন পরে মারা যান মকবুল হোসেন। নিরূপায় হয়ে পড়েন ছালেকা। এরপর থেকে ষাটোর্ধ্ব ছালেকা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পান, তা দিয়ে নিজের খাবার যোগাড় করেন।
ছালেকা বলেন, ‘হুনছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবদের ঘর দিতাছইন, আমি একটা ঘর চাই, মরার সময় নিজের ঘরে মরতাম চাই, আমি একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই’।
সরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে ছালেকা বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, কেলায় (কে) আমারে সহায়তা দিব, ভোট আইলে হক্কলেই দিব কয়, কেউ তো দেয় না’।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দীন বলেন, ওই নারীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের একটি ঘরে দেওয়ার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
আরএ