ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতিবন্ধিতাযুক্ত মানুষরাও দেশের উন্নয়নের অংশীদার: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
প্রতিবন্ধিতাযুক্ত মানুষরাও দেশের উন্নয়নের অংশীদার: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রতিবন্ধিতাযুক্তদের অন্তর্ভুক্ত করায় বাংলাদেশে আজ তারাও উন্নয়নের অংশীদার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেনেভায় শুরু হওয়া দু’দিনের জাতিসংঘের কনভেনশন অন দ্য রাইটস অব পারসনস উইথ ডিজ্যাবিলিটিস বিষয়ক কমিটির ২৭তম অধিবেশনের প্রথম দিনে দেশভিত্তিক পর্যালোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সমাজকল্যাণ সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন।

ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রতিবন্ধিতাযুক্ত সবাইকে দারিদ্র্যমোচনসহ সব জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম এবং স্নায়বিক ও মানসিক ব্যাধির চিকিৎসা, সেবা উন্নয়ন, গবেষণা ও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে নিরলস কাজ করছেন। প্রতিবন্ধিতাযুক্তদের সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসতে সরকার প্রতিবন্ধীভাতা বৃদ্ধি, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ, প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ ও তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সুলভ করতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

এ বিষয়ে দেশের আইন-কানুনের বিবরণে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রণীত প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরো-ডিভালপমেন্টাল ডিজ্যাবিলিটিস প্রটেকশন ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৮, মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ এ সব আইন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতাযুক্তদের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।

এ সময় এতিম অটিস্টিক শিশুদের দায়-দায়িত্ব সরকার বহনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কথাও অধিবেশনে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয়প্রাপ্ত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নোয়াখালীর ভাসানচরে নির্মিত ক্যাম্পেও প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।  

তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কনভেনশন কমিটি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।  

বাংলাদেশ ২০০৭ সালে প্রতিবন্ধিতাযুক্তদের অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত জাতিসংঘের কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে এবং নিয়মিত দেশভিত্তিক পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়ক প্রথম পর্যালোচনাটি এ অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

২৫ থেকে ২৬ আগস্ট সম্মেলন শেষে ২৭ আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তথ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এমআইএইচ/এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।