ভোলা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোড়ো বাতাসে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভোলার উপকূলের মানুষ। এরই মধ্যে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টার পর থেকে মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে সহযোগিতা করছেন ভোলা জেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা।
ধনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে বিকেল পর্যন্ত জেলার অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিকেলে জেলায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ২০-২৫ নটিক্যাল মাইল। তবে কোথাও কোনো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলায় ৮৪ মেট্রিক টন চাল ও ৮৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং বিস্কুট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
হাসিব মাহমুদ হিমেল বলেন, উপকূলের মানুষকে নিরাপদে আনতে কাজ করছে ছাত্রলীগ।
কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন বলেন, ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে চরপাতিলা ও কুকরি-মুকরি তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন অনেক মানুষ।
আশ্রয় কেন্দ্রে আসা হারুন, নুর জাহান, ফাতেমা, খাইরুন রুমা, লিমা বলেন, আমাদের ঘরভিটা তলিয়ে গেছে।
ধনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির বলেন, আমাদের এলাকার দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে ১২০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এসআই