ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মায় ভাঙন, বিলীনের পথে বাড়ি-ঘর ফসলি জমি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
পদ্মায় ভাঙন, বিলীনের পথে বাড়ি-ঘর ফসলি জমি

ফরিদপুর: জেলা সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের পাল ডাঙ্গী ও ভাঙ্গি ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা নদীর অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকাগুলোর বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

নদীর পারি কমতে শুরু করায় বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। বিলীনের পথে রয়েছে আরও বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি।

ফরিদপুরের পর্যটন স্পট ধলার মোড় বরাবর পদ্মা নদীর অপর পাড়ে ভাঙ্গি ডাঙ্গী গ্রামের একমাত্র গোরস্থানটিও বিলীন হয়েছে পদ্মায়। গোরস্থানের কাছেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেকগুলো ঘর। নদী ভাঙনের কারণে স্থানীয়রা রয়েছেন আতঙ্কে। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছেন তারা। সেটি যদি না হয়, ভাঙন কবলিত মানুষ ফের বাস্তুহারা হয়ে পড়বে।

সোনা মিয়া নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ভাঙ্গি ডাঙ্গী গ্রামে আগে চর ছিল। গত এক যুগ ধরে নদী ভাঙনে ক্ষতির শিকার মানুষজন এখানে ঘর বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেছে। কৃষিকাজই আমাদের প্রধান জীবিকা। গত দুই সপ্তাহে প্রতিদিনই খেয়া ঘাটের পাশের ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে নদী লোকালয়ের কাছে চলে আসছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় অতিবৃষ্টিতে আর পানি কমার সাথে তীব্র স্রোতে ভেঙেই চলেছে পদ্মা। আমরা চরবাসী আতঙ্কে আছি।

স্থানীয় মাহাতাব আলী বলেন, যেখানে এখন ভাঙন শুরু হয়েছে, তার অদূরেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি হাসপাতাল। দ্রুত ভাঙন না ঠেকালে প্রতিষ্ঠান তিনটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা যে টিউবগুলো ফেলছি সেগুলো স্রোতের তোড়ে সরে যাচ্ছে, তবু এগুলো ভাঙনের গতি কমাবে। শুকনো মৌসুমে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।