বাংলাদেশিদের একটি বড় গুণ হলো, অন্যের দোষ গাওয়া! মানে নিজের খাবারের খবর নেই কিন্তু প্রতিবেশীর তরকারীতে যদি লবণ কম থাকে, তা পুরো এলাকা জুড়ে মাইক দিয়ে বলে বেড়ানোর স্বভাব আমাদের চিরকালের।
ঠিক তেমনই ঘটেছে রুবেল-হ্যাপির বেলায়।
একটি খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগত জীবনে সাংসারিক হতে হবে এমন কথা অযৌক্তিক। বিশ্বের অনেক নামী দামি খেলোয়াড় তাদের ব্যক্তিগত জীবনে নানা কুকর্মে জড়িত।
কিন্তু সেটা আমাদের মাথা ব্যথা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, রুবেল কি খেলার মাঠে কোনো অন্যায় করেছেন? না। তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য কি মাঠে পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে? না। বলা ভালো, এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। বরং, ব্রেকথ্রু বোলার হিসেবে তিনি এখন অনেক ভালো করছেন। পাশাপাশি লোয়ার অর্ডার হিসেবেও রান পাচ্ছেন। তাহলে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমাদের এত মাথা ব্যথা কেন!
অজি ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন বা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু মাঠে সেটার প্রভাব কখনই পড়েনি। তারা তাদের দেশের জন্য সেরা খেলাটাই দিয়ে গেছেন সবসময়। বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মার কাহিনী নিয়েও গণমাধ্যমে তোলপাড়। কিন্তু ভারতীয় নাগরিকদের এই কাহিনীর চেয়ে কোহলির খেলার প্রতি নজর বেশি।
সামনে বিশ্বকাপ। আমাদের সবার উচিত এসব আজেবাজে খবরের পেছনে না ছুটে খেলোয়াড়দের বেশি করে অনুপ্রেরণা দেওয়া। আর খেলোয়াড়দেরও সবকিছু বাদ দিয়ে খেলার প্রতি নজর দেওয়া।
তাই বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের নানা অতিরঞ্জিত শিরোনামের কাহিনী দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কলুষিত করা উচিত নয়। যে ক্রিকেটের মাধ্যমে বিশ্ব আমাদের জেনেছে, সেই ক্রিকেটকে কিভাবে আরও উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করা উচিত।
মাহমুদ খায়রুল: সাংবাদিক
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪