ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ইইউ অবাধ নির্বাচন চাইলে কাদের সাহেবের মুখ শুকিয়ে যায়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
‘ইইউ অবাধ নির্বাচন চাইলে কাদের সাহেবের মুখ শুকিয়ে যায়’

ঢাকা: গণপদযাত্রা কর্মসূচিপূর্ব সমাবেশে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যখন বলে আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চাই তখন ওবায়দুল কাদের সাহেবের মুখ শুকিয়ে যায়।

বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, ছোলা, ডিম, তেল, আটা, লবণ, চিনি ও শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের দাবিতে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন।

পরে পদযাত্রাটি শাপলা চত্বর ঘুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় এসে শেষ হয়। গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি যৌথভাবে এ পদযাত্রার আয়োজন করে।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার, অগণতান্ত্রিক সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধের সরকারকে আমেরিকা, ভারত, চীন ও জাপানসহ কোনো গণতান্ত্রিক শক্তি সমর্থন করে না, যার প্রমাণ আমেরিকায় গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি।  

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী দিনে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার জন্য আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে এনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি ও আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন জনগণকে নিঃস্ব করছে। ১৪ বছর ধরে জনগণের পেটে লাথি মারছে আওয়ামী লীগ সরকার। সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। জনগণ এ সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

গণপদযাত্রায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী। তিনি বলেন, জনগণ আগুন ছোঁয়া মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আপনাদের কোনো উদ্যোগ নেই জনগণের ভোগান্তি কমানোর, তাই ক্ষমতা ছেড়ে দিন। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠিত হলে জনভোগান্তি শেষ হবে, জনগণ মুক্তি পাবে এবং দেশে শান্তি ফিরে আসবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের সভাপতি পরিষদ সদস্য আবদুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক নিলুফার আহম্মেদ শাপলা, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, রবিউল ইসলাম রবিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব আব্দুল কাদের, কো-চেয়ারম্যান পারভিন নাছের খান ভাষানি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান লিটন, নাজমা আক্তার, রানী শেখসহ বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।