ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগ মানুষকে কথা বলতে দেয় না: মঈন খান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
আ. লীগ মানুষকে কথা বলতে দেয় না: মঈন খান

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে বলে তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, আর কায়েম করে একদলীয় বাকশালী শাসন। তারা মানুষকে কথা বলতে দেয় না, এরা কীভাবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হলো।

পথে ঘাটে সব স্থানে বলে যাবো আওয়ামী লীগ কখনো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে পারে না।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের বিএনপি সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

আব্দুল মঈন খান বলেন, ২৫ মার্চে কালো রাত্রে যখন হায়নার মতো পাকিস্তানি বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন আওয়ামী লীগের কি ভূমিকা ছিল। তাদের ভূমিকা ছিল পলায়ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা। তারা পালিয়ে গিয়েছিল। তারা কাপুরুষের মতো অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। আর জিয়াউর রহমান কি করেছিলেন? স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানীদের ভয় পাননি। এ কথাগুলো নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। আজকে সরকার মিথ্যা ইতিহাস প্রকাশ করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সত্যিকারের ইতিহাস আমাদের তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা যে আন্দোলন করছি, এ আন্দোলনে ইনশাল্লাহ আমরা সফলতা অর্জন করব। আমরা এ সরকারের অবসান ঘটিয়ে এখানে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।

উপস্থিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে আব্দুল মঈন খান বলেন, আমাদের চলমান কর্মসূচি কোন পর্যায়ে নিয়ে গেলে বর্তমান সরকারের অবসান ঘটাতে পারবো এ বিষয়ে আপনারা আমাদেরকে মতামত দেবেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে যান নাই, তিনি খালেদা জিয়া ও তার সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি যুদ্ধে গিয়েছেন। তিনি সম্মুখ শ্রেণিতে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শৃঙ্খলার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। জিয়াউর রহমান রাজনীতির মধ্যে যে শৃঙ্খলা এনেছিলেন এটা খুব বিরল রাজনীতির মধ্যে।

সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনে উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু।

সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।

সভায় ঢাকা বিভাগের সাবেক ও বর্তমান ২১৫ জন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন বলে দলীয় সূত্র জানায়।  

এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।