ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিতে হবে: জি এম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিতে হবে: জি এম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোরও আস্থা নেই নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর।

নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণে। সাধারণ মানুষ মনে করে বর্তমান ব্যবস্থায় সরকারের ইচ্ছে মতো নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব। তাই নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিতে হবে।

সোমবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন যারাই ক্ষমতায় ছিল, তারাই নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করেছে। এক সময় কেয়ারটেকারের দাবি উঠেছে। আবার কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হয়েছে। আমরা সেই নিয়ন্ত্রিত কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছি। কেয়ারটেকার ইস্যুতে কখনও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একসঙ্গে আন্দোলন করেছে। আবার একই দাবিতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি একসঙ্গে আন্দোলন করেছে। এখন বিএনপি আবার কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা মনে করি, নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিতে হবে। নির্বাচনে জনগণের রায় যেন বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতিফলন হয়। সাধারণ মানুষের দাবি, নির্বাচন নিয়ে যেন কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না হয়।  

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সবগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি দুটি কারণে। এক. আমরা দেখতে চাই মাঠ পর্যায়ে আমাদের শক্তি ও জনসমর্থন কতটা আছে। দুই. নির্বাচন কেমন হচ্ছে তা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই। দেশের মানুষ যেন বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পায়।  

এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।