ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নতুন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের আত্মপ্রকাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
নতুন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের আত্মপ্রকাশ

ঢাকা: সাম্য ও অধিকারভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির উন্মেষ ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ’।

শুক্রবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এ ছাত্র সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ প্রিন্স ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম নির্ঝরকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ গঠনের কারণ, উদ্যোক্তাদের রাজনৈতিক পরিচয়, সখ্য ও সংঘবদ্ধ হওয়ার ইতিহাস, দলের লক্ষ্য ও কর্মসূচি তুলে ধরেন মুহাম্মদ প্রিন্স।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক পরামর্শ ও গবেষণা করে ছাত্র সমাজের মূল সংকট হিসেবে রাজনৈতিক অসচেতনতাকে চিহ্নিত করেছি। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছি স্বপ্নহীন শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের অকার্যকর নাগরিকের আঁতুড়ঘরে পরিণত হওয়া। তাই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত তিন মূলনীতি- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের আলোকে শিক্ষার্থীদেরকে রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণে রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত ও সচেতন ‘জনগণের সেবক’ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। তাই দেশের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সামজিক ও মানবিক কাজে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে নিজেদের অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে নির্ধারণ করেছি। আমাদের কর্মসূচিগুলোর মধ্যে থাকবে- নাগরিক মূল্যবোধে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত করা; দক্ষ, কর্মঠ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি; দেশিয় মূল্যবোধের ধারণ ও চর্চা করা; জাতি গঠন ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রাখা; চিন্তা ও মননশীলতার বিকাশ করা; ছাত্র সংসদ ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি ও সাংবিধানিক প্রতিবাদ করা।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমাদের ৬০-৭০ বছরের ছাত্র রাজনীতির সবচেয়ে বড় সংকট হলো জাতিসত্তা গঠন এবং তার মননশীলতার বিকাশে সে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি। শুধুমাত্র ক্ষমতার বলয় কেন্দ্রিক হাতিয়ার ও লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করতে গিয়ে ছাত্র সমাজের শুধুই অপূরণীয় ক্ষতিই হয়নি, বরং পুরো রাজনীতির ব্যাপারেই একটি অনীহা জন্মেছে। যার ফলে সৎ, মেধাবী ও চৌকশ তরুণরা বেশি মাত্রায় ক্যারিয়ার প্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশ ও জাতির সেবা করার কোনো প্রত্যয় বা আকাঙ্ক্ষা তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের অন্যতম উপদেষ্টা নাসির আবদুল্লাহ, অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।