ঢাকা: সারাদেশে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে দলটির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছ নির্বাচনের ইচ্ছে নেই।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সারাদেশে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, সমর্থক ও এজেন্টদের ওপর হামলা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। কোনো অভিযোগ নিয়ে গেলে প্রশাসনের লোকেরাও প্রতিকারের পরিবর্তে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি ও গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন।
ইতোমধ্যে ঝিনাইদহ, ফেনী, ভোলা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহীর চারঘাট, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুমিল্লার লাকসামসহ বেশ কিছু স্থানে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব। তিনি বলেন, ঝিনাইদহে একজন যুবদল নেতাকে কুপিয়েও হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের বাড়িঘরেও হামলা চালানো হচ্ছে।
রিজভী বলেন, ভোলায় বিএনপির প্রার্থীর বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প করে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেবল এখানেই নয়, সারাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। অভিযোগ করেও প্রতিকার আসছে না।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। চাইলে তারা নির্বাচনের আগে দলের লোকদের দিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাতো না, মামলা-গ্রেফতার করতো না। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নানসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে দিতো।
তিনি বলেন, কেবল সরকার নয়, নির্বাচন কমিশনও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে উৎসাহী নয়। এ কারণেই তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে।
রিজভী বলেন, অবৈধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার বিষয়টি এখন কেবল জনগণের ওপর নির্ভর করছে। তারাই পারেন ভোট দিয়ে সরকার ও ইসির পক্ষপাতমূলক আচরণের জবাব দিতে।
বিএনপির দফতরেরর দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ‘জঙ্গলবাদ’ কায়েম করতে চাইছেন, কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। তারা মিথ্যাচার করছে। এ মিথ্যাচারের জবাব জনগণই দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম, নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
এমএম/এইচএ/