ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নিহত পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইবনে আজাদ কমলের বাবার সাহায্যের টাকা না পাওয়া নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে কমলের বাবা আবুল কালামের সাহায্যের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করলেও জেলা ছাত্রদল বলছে ভিন্ন কথা।
সাহায্যের টাকা কেন্দ্রীয় বিএনপির তহবিল থেকে নয়, জেলা ও উপজেলা ছাত্রদলের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে দাবি করে তারা বলেন, নিজেদের পকেটের টাকা নিজেদের আত্মসাতের অভিযোগ বিভ্রান্তিকর।
১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থ আত্মসাতের বিষয় নিয়ে বাংলানিউজে ‘তাদের বিচার আল্লাহ করবে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের সূত্র ধরেই মুখ খুলছে জেলা ছাত্রদল।
প্রকাশিত রিপোর্টটিতে কমলের বাবা আবুল কালাম অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নির্মম নির্যাতনে তার ছেলে ইবনে আজাদ কমল মারা যান। এর তিন মাসের মাথায় দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাদের ডেকে সাহায্য বাবদ ৫ লাখ ও ৩ লাখ টাকার দু’টি চেক তুলে দেন। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকার চেকটি ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়। বাকি ৩ লাখ টাকার চেকটি জেলা ছাত্রদল সভাপতি রোকন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাসিম নগদ টাকা দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে নিয়ে নেন।
পরবর্তীতে তাকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়। বাকি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা না দিয়ে তাদের সঙ্গে ছলচাতুরি করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
প্রয়াত ছাত্রদল নেতা কমলের বাবা আবুল কালামের বক্তব্য ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সভাপতি সুজাউদ্দৌলা সুজা।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কমলের বিধবা স্ত্রী ও শিশু সন্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আর্থিকভাবে ৩ লাখ টাকা দিয়ে তাদের সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা ছাত্রদল। পরবর্তীতে দলীয় চেয়ারপারসন তাদের হাতে ওই ৩ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
বাংলানিউজকে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সুজা আরো বলেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রোকনুজ্জামান চেকটি কমলের বাবার কাছ থেকে ফেরত নিয়ে ৩ লাখ টাকা নগদ প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
সেই মোতাবেক তাদের দু’দফায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাসিম ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক ছাত্রদলের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
বিবৃতিতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা আরো দাবি করেন, পরবর্তীতে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হওয়ায় এবং জেলা ছাত্রদল সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন একাধিক মামলার আসামি হয়ে এক বছর দু’মাস আত্মগোপনে থাকায় বাকি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তাদের দেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমজেড