ঢাকা: আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের মুক্তির ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সৈয়দ আবদাল আহমদ, এম. আবদুল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, হাসান জাফির তুহিন, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ৭০টি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও মাহমুদুর রহমানকে নতুন আরেকটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে জেলে আটকে রাখা এক চরম অন্যায়। সর্বশেষ মামলায় প্রধান বিচারপতি আপিলে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল রাখেন। তিনি মাহমুদুর রহমানের প্রতি ন্যায়বিচার করায় আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। কিন্তু এরপরই সরকার যে কাজটি করেছে, তা প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের প্রতি এক ধরনের অবজ্ঞা বলেই আমরা মনে করি। আজ ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধেও বুধবার পর্যন্ত ৬৯টি মামলা দেয়া হয়েছে এবং মামলায় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এসব মামলায় কোর্ট ফি দেয়া হয়েছে কিনা, প্রধান বিচারপতিকে সে ব্যাপারেও তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদ বছরের পর বছর জেলে বন্দি থাকবে-এটা চলতে পারে না।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আশা করি প্রধান বিচারপতি ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন।
সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, মাহমুদুর রহমান উচ্চ আদালতে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু তাকে অজ্ঞাত মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫
জেডএম