রাজশাহী: দীর্ঘ ১২ বছর পর আগামী ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে এখানকার যুবলীগের সাংগঠনিক তৎপরতা।
সম্মেলনে শীর্ষ পদে যেতে পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তরুণ নেতারা। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে হাফ ডজন তরুণ নেতা কাউন্সিলরসহ নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন কৌশলে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
সে হিসেবে দীর্ঘ দিন পর হলেও তৃণমূল নেতাদেরও কদর বেড়েছে। সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান সহযোগী সংগঠন নগর যুবলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের কর্মীরা।
এবারের সম্মেলনে প্রায় ৭০০ কাউন্সিলর গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
এর আগে, ২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল নগর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে রমজান আলী সভাপতি ও মোশারফ হোসেন বাচ্চু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এবার সভাপতি পদে রমজান আলী ছাড়াও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অলক কুমার দাস।
এছাড়া, মোশারফ হোসেন বাচ্চু ছাড়াও এবার সাধারণ সম্পাদক পদে লড়তে চান বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক।
অপরদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাঠে রেয়েছেন প্রচার সম্পাদক মকুল শেখসহ কয়েকজন। নগর আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করতে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বের পরিবর্তনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন যুবলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী বাংলানিউজকে বলেন, এবার ৬৩২ জন কাউন্সিলর রয়েছে। তবে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে বিশেষ কাউন্সিলর করার জন্য আরও ৬৮ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে। সেটি অনুমোদন হলে ৭০০ কাউন্সিলর ভোট দিতে পারবেন।
সম্মেলনের ভেন্যু এখনো নির্ধারণ করা না হলেও শিরোইন স্কুল মাঠ ও আলুপট্টি মোড় ব্যবহারের জন্য রাজশাহী মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে এ সপ্তাহে ভেন্যু নির্ধারণ করা হবে বলে জানান রমজান আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬
এসএস/এইচএ