ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগের সম্মেলন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ঢাকা: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

উদ্যানে প্রবেশের ৭টি প্রবেশমুখে আর্চওয়ে গেট লাগানো হবে।

পুলিশ সদস্যরা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে আগতদের দেহ তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন মোড়, দোয়েল চত্বর, টিএসসিসহ পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

পুরো এলাকাটি সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য তিনটি কন্ট্রোলরুম থাকবে। এসব ফুটেজ পর্যালোচনা করতে তিনজন আইটি এক্সপার্ট কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবেন।

এই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ব্যাগ, পোটলা, ধারলো অস্ত্র ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি লাইসেন্স করা আগ্নেআস্ত্র নিয়েও ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। তবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তার নির্দেশনা দেবে।

শাহবাগ থানায় পুলিশ ফোর্স মজুদ রাখা হবে। উদ্যানের ভেতরে প্যান্ডেল ও সম্মেলনের নিরাপত্তায় ডিএমপির পুলিশ ছাড়াও পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী স্পেশাল ওয়েপুন অ্যান্ড ট্যাক্টিক্স (সোয়াট) টিম, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), পুলিশ ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড।

উদ্যানে প্রবেশের ৭টি প্রবেশমুখের মধ্যে শিখা চিরন্তনের গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপি ও ভিআইপিরা গাড়িসহ প্রবেশ করবেন।

ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের গেট দিতে বিভিন্ন জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গাড়ি রেখে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য উদ্যানের ভেতরে স্যাটেল বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বাসে করে তাদের গেট থেকে মঞ্চে নেওয়া হবে।

সম্মেলনের আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) থেকে উদ্যানের দায়িত্ব নেবে ডিএমপি। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের সোয়াট টিম, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে পুরো উদ্যান সুইপিং করা হবে। সেদিন থেকে কোনো অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সম্মেলনে নিরাপত্তায় যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবকেরা একসঙ্গে কাজ করবে।

সূত্রটি আরও জানায়, রাজধানী জুড়েই পর্যাপ্ত পরিমানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য  মোতায়েন থাকবে। পুরো রাজধানীতেই নিরবচ্ছিন্ন এবং সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করবে তারা।

র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, সম্মেলনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে র্যাব।

এদিকে, ডিএমপি পক্ষ থেকে সম্মেলনের অংশ গ্রহণের জন্য ঢাকার বাইরে থেকে আগতদের জন্য একটি ট্রাফিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর এই ট্রাফিক নির্দেশনার একটি করে কপি পাঠানো হবে।

সম্মেলনে আসা সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬
এসজেএ/জিপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।