রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বিজিবি ও র্যাব মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ শাহানুর আলম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি বৈঠক করে স্থানীয় প্রশাসন। বৈঠকে উপস্থিত জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান জানান, রোববার হরতালের দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দুই প্লাটুন বিজিবি, পাঁচ সেকশন র্যাব ও এপিবিএন সদস্যসহ বাড়তি দেড়শ’ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এদিকে, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। অন্তত ২০ হাজার মানুষ মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে রাজপথে অবস্থান নেবে।
অপরদিকে, সরকারি অনুষ্ঠান যেকোন মূল্যে করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে মন্ত্রীর অনুগতরা।
একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রী ছায়েদুল হক নির্ধারিত অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, দলের স্বার্থে তিনি বিজয়নগরে যাবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নব-নির্মিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ভবন উদ্বোধনের কর্মসূচিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় নতুন করে মন্ত্রী ও জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ দেখা দেয়। এ অবস্থায় রোববার মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
মন্ত্রীর সফরের দু’দিন আগে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে সেখানকার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় হামলকারীরা মন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নামফলক ভেঙে ফেলে ও অফিস কক্ষ তছনছ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এসআরএস/বিএস