ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নির্বাচন কমিশন সরকারের তল্পিবাহক’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৮
‘নির্বাচন কমিশন সরকারের তল্পিবাহক’ প্রতিবাদ সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা:  বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের তল্পিবাহক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, তাদের মেরুদণ্ড বলে কিছু নেই, থাকলে আওয়ামী লীগ সরকারি টাকা খরচ করে নৌকায় ভোট চাইতে পারতো না ।

শুক্রবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।  

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারকে একটা চিঠি পর্যন্ত দিতে পারছে না।

আওয়ামী লীগ ভোট চেয়ে যাচ্ছে অথচ বিএনপিকে শুধু আন্দোলন করে যেতে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন তো শুধু দুই মাস বা ৪৫ দিনের জন্য না। আপনাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে, চাকরির নিরাপত্তা আছে শুধু তফসিল ঘোষণা করার জন্য না। আপনাদের ৫ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় সারাবছর নজরদারি রাখার জন্য। আপনারা ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবেন, সীমানা নির্ধারণ করবেন, একটি নির্বাচন শেষ হলে সংবিধান অনুসারে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবেন। কিন্তু এই নির্বাচন কমিশন তা করছে না। তাই এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।  

সংবিধান পরিপন্থিভাবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে অভিযোগ করে মওদুদ আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জায়গায় জনসমাবেশ করে নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চাইছেন। তিনি এই জনসভা সরকারি টাকা খরচ করে চালাচ্ছেন। এটা সংবিধান পরিপন্থি কাজ। তাকে যদি নৌকা মার্কায় ভোট চাইতেই হয় তাহলে সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের খরচে ভোট চাইতে হবে। নইলে বিএনপিকেও জনসমাবেশ করার সুযোগ দিতে হবে। আমরা জনসমাবেশ করতে চাচ্ছি কিন্তু আমাদের তা করতে দেওয়া হচ্ছে না।  

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া আগামী সপ্তাহের মধ্যেই মুক্তি পাবে বলে আমরা আশা করছি। জজকোর্ট থেকে হাইকোর্টের দূরত্ব কম তবুও কাগজপত্র পাঠাতে কালক্ষেপণ করছে। আওয়ামী লীগ ভাবছে এভাবে তারা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পারবে। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে জয়ী হবে। আসলে পতন যখন আসন্ন হয় তখন সবাই বেপরোয়া হয়। তাই আওয়ামী লীগ এখন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।  

সংগঠনটির উপদেষ্টা এম এ বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহম্মদ আজম খান, শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, খালেদা ইয়াসমিন, গোলাম মোস্তফা আকন্দ, হামদুল্লাহ আল মেহেদীসহ প্রমুখ।  

এ সময় বক্তারা খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।