শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিলটি বের হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এসময় মিছিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, দফতর সম্পাদক এ বি এম রাজ্জাক, কাফরুল থানা বিএনপি সভাপতি আক্তার হোসেন জিল্লু, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু, আব্দুল আউয়াল, এনায়েত হাফিজ, ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, হারুন অর রশীদ খোকা, ছাত্রনেতা মাসুদসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ও আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নির্দোষ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দির উদ্দেশ্যই ছিলো মধ্যরাতে নির্বাচন করা। এ নির্বাচন ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর রাতের আঁধারে ব্যালট বাক্সপূর্ণ করা। তাই জবাবদিহিতাহীন সরকারের দুঃশাসনে সাম্প্রতিককালে এক ভয়াবহ নারী নির্যাতনের শিকার নুসরাত জাহান রাফিসহ দেশব্যাপী নারী হত্যা, নারী নির্যাতনের হিড়িক পড়েছে। অনাচার-অবিচার চরম মাত্রায় উপনীত হয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র-সমাজে নৈরাজ্যের ব্যাপক বিস্তারে মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। ক্ষমতাসীন দলের লোক হলে তার ‘সাত খুন মাফ’, আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যারা ন্যায়ের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার তাদের মায়ের কোল খালি করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের ঠিকানা নির্ধারণ করা হচ্ছে কারাগারে।
অন্যদিকে, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতাসীন মহলের পছন্দের লোকেরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তাকে অনিশ্চিত করেছে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দূষিত পানি পান করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এতে দূষিত পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকাবাসী।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রিজভী বলেন, এদেশের কোটি কোটি জনতার আশা-আকাঙ্খার প্রতীক খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যাবে না। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের কষাঘাত থেকে তাকে কারামুক্ত করতে জনগণ এখন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/