বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতাদেশ সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক।
পড়ুন>>ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা
‘সুতরাং কোনো বিচার বিশ্লেষণ ও যুক্তিতর্ক ছাড়া তার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশ দেওয়া গভীর চক্রান্তমূলক। সরকারের কারসাজিতেই এহেন আদেশ প্রদান করা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, আমরা বারবার গণবিরোধী ভোটারবিহীন সরকারের গণতন্ত্র হত্যা কার্যক্রমের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করেছি। আওয়ামী সরকারের হাত ধরেই এদেশে বারবার গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। দেশ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশান্তরিত করা হয়েছে। এক ভয়ংকর একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের হিংস্র থাবায় রাষ্ট্র সমাজ থেকে গণতন্ত্রের শেষ নিশানাটুকু মুছে ফেলা হয়েছে। এর আবারও প্রকাশ ঘটলো ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর আদালতকে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে।
বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, সুষ্ঠু, সুন্দর ও গণতান্ত্রিক পন্থায় ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচন নস্যাৎ করতেই সরকারের নির্দেশে এই আদেশ। এটি আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির আরেকটি অধ্যায় হয়ে থাকবে। এবার রাখঢাক করে নয়, বরং প্রকাশ্যেই আওয়ামী সরকার আদালতকে দিয়ে তাদের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির চরিত্রটি আবারও উন্মোচিত করলো। আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কাউন্সিল বিষয়ে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজিব আহসান, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এমএইচ/এমএ