ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বেকায়দায় পড়ে ছাত্রলীগ নেতাদের অপসারণ: মওদুদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
বেকায়দায় পড়ে ছাত্রলীগ নেতাদের অপসারণ: মওদুদ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন মওদুদ আহমদ/ছবি: শাকিল

ঢাকা: ছাত্রলীগ নেতাদের দুর্নীতির কারণে সরকার বেকায়দায় পড়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সেক্রেটারিকে অপসারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এইবি) আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  

সরকারের মুখোশ খুলে গেছে উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, আজ সরকার এমন বেকায়দায় পড়েছে যে তাদের বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করতে হয়েছে।

কেন? টাকার জন্য, ঘুষের জন্য, তারা দুর্নীতি করেছে সেজন্য। সরকার একটি তালিকা করেছে। ৫শ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী চাঁদাবাজি করে। এটা ৫শ না, ৫ হাজার বা তারচেয়ে বেশি হবে।

তিনি বলেন, এই ছাত্রলীগ, এই যুবলীগ, টেন্ডারবাজি করে, চাঁদাবাজি করে মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে। এরা জমি দখল করে, এরা দোকান দখল করে, এরা মানুষকে গুম করে টাকা নেয়। এটা আজ তারা প্রমাণ করেছে।

সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে দেশ আজ সমস্যার সম্মুখীন দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি হলো রোহিঙ্গা সংকট। এই রোহিঙ্গা সংকট এ সরকারের সৃষ্টি। এজন্য সরকারই সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তাদের কূটনীতিক ব্যর্থতার কারণে আজ ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের মাটিতে রয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও দেশে ফেরত পাঠাতে পারেনি। অপরদিকে আসামের এনআরসি। ভারতের একজন নেতা বলেছেন, ‘দুই প্যাকেট খাবার দিয়ে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে’। তার মানে কী?

তিনি বলেন, কোনো বাংলাদেশিতো আসামে নেই। তারা ভারতের নাগরিক। আমাদের দেশ থেকে আসামে কেন লোক যাবে? আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কি আসামের চেয়ে খারাপ? আমাদের দেশের আর্থিক অবস্থা তাদের চেয়ে অনেক অনেক ভালো। কেন এখানের মানুষ আসামে যাবে? এটা একটি মিথ্যা অজুহাত তুলে কিছু মানুষকে বাংলাদেশে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে।

আইনিভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি জানিয়ে মওদুদ বলেন, আজ এক বছর ৭ মাস তিনি জেলখানায়। একটি বানোয়াট মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের মামলায় তার জেলখানায় থাকার কথা নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় তার মুক্তি হবে না। তার মুক্তি হবে রাজপথের আন্দোলনে। নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হবে।

এইবির আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ড্যাব মহাসচিব প্রফেসর ডা. আব্দুস সালাম, বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।