ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ূন কবিরের জানাজা সম্পন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ূন কবিরের জানাজা সম্পন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: তৃতীয় ও চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীরের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে জেলা ঈদগা ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ নূর।

জানাজার আগে মুক্তিযুদ্ধের এ বীর সেনানীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

জানাজায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, নবীনগর- ৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, বাঞ্ছারাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম তাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ আওয়ামী লীগ, বিনএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বসস্তরের হাজার হাজার মানুষ।

পরে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা প্রিয় এই নেতাকে শেষবারের মতো ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

জানাজার আগে তার ছেলে এনায়েত কবির সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া কামনা করেন। জানাজা শেষে তাকে পৌর শহরে পৈরতলা এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে হুমায়ুন কবীর অসুস্থ হয়ে পড়লে পৌনে ৯টার দিকে পরিবারের লোকজন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। হুমায়ুন কবীর স্ত্রী মেয়র নায়ার কবীর, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

হুমায়ুন কবীর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ অসুস্থ থাকায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন। সেখানে সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল।

হুমায়ুন কবীর ১৯৫২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম বজলুর রহমান ও মায়ের নাম উকিলুন্নেচ্ছা। হুমায়ুন কবীর ছাত্র জীবনে ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। পরে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে তিনি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৭ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কনিষ্ঠতম পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি পুনরায় পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এসময় তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজে অবদান রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮,  ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।