ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হাস্যকর সব তামাশা কেবল এ আমলেই সম্ভব: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
হাস্যকর সব তামাশা কেবল এ আমলেই সম্ভব: রিজভী

ঢাকা: খিঁচুড়ি রান্নায় প্রশিক্ষণ নিতে সরকারি কর্মকর্তাদের ভারত সফরের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অভিনব, হাস্যকর এসব তামাশা কেবল আওয়ামী লীগের আমলেই সম্ভব।

তিনি বলেন, একটি সংবাদের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

খিঁচুড়ি রান্নায় প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। এর আগে পুকুর খননের প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো হয়েছিল। এছাড়াও পাবদা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিতে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে গিয়েছিলেন। এসব অভিনব ও হাস্যকর তামাশা কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ আমলেই সম্ভব।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আবহমান কাল ধরেই উল্লিখিত বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের রপ্ত। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানোতে একটি প্রবাদ মনে পড়ে যায়-‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’। মোটা অংকের টাকা খরচ করে ফালতু কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো মূলত মিডনাইট নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের উপঢৌকন দেওয়া। যে সরকারের আমলে একটা বালিশের দাম সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং একজন রোগীকে আড়াল করতে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার পর্দা লাগে, সেই সরকার যে আগাগোড়াই লুটপাটের চেতনায় অনুপ্রাণিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গত দু’দিন আগে বলেছেন-‘বিএনপি চিরাচরিত মিথ্যাচার করছে। বিএনপি বলেছে, এ সরকার করোনা রোগীদের পরিসংখ্যানে ৮২ হাজার রোগীর নাম বাদ দিয়েছে। এ তথ্য কোথায় পেয়েছেন, তালিকা দেন’। ওবায়দুল কাদের সাহেবের উদ্দেশে বলতে চাই, বানোয়াট এবং অসত্য কথা বলার ফেরিওয়ালা আপনারা। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, গত ১১ সেপ্টেম্বর বহুল প্রচারিত ‘নিউ এজ’ পত্রিকাটির প্রধান শিরোনাম দেখুন। ৮২ হাজার নয়, ৮৪ হাজার করোনা রোগীকে সরকারের ডাটাবেজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ডিজি হেলথ সার্ভিস কি সরকারি নাকি বিরোধী দলীয় প্রতিষ্ঠান? এটি প্রত্যক্ষভাবে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। তাদের ডাটাবেজ থেকে ৮৪ হাজার রোগীর নাম হারিয়ে গেল কীভাবে? এ তথ্যটি এমন একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যেটি জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যম।

এ সংবাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি ডাটাবেজে এলাকাভিত্তিক করোনার সংখ্যা ও সংক্রমণের হারেরও তেমন তথ্য নেই। এখন আমি বলতে চাই, উল্লিখিত পত্রিকাটি পাঠ করে ওবায়দুল কাদের সাহেবের নিজের আত্মমর্যাদার কথা চিন্তা করে এ মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। জনসম্মুখে ডাহা মিথ্যা উল্লেখ করার পর একজন মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা তার মর্যাদার সঙ্গে বেমানান, যোগ করেন রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য একরামুল হক বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদুর রহমান, মোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
এমএইচ/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।