ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

‘মূর্তি ভাঙচুর একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২১
‘মূর্তি ভাঙচুর একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র’ অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

ঢাকা: কুমিল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় হিন্দু সমাজের ওপর হামলা, মূর্তি ভাঙচুর ধর্মীয় উগ্রবাদী ও মৌলবাদীদের একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নানক এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কুমিল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় হিন্দু সমাজের ওপর হামলা ও মূর্তি ভাঙচুর করা হলো। এটি ধর্মীয় উগ্রবাদী ও মৌলবাদীদের একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ শান্তি এবং সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপি-জামায়াত তর্জন-গর্জন দিচ্ছে। তারা ঢাকা দখল এবং আন্দোলনের হুমকির কথা বলেছিল। অর্থাৎ দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য তাদের যে অভিপ্রায় ছিল, সেই অভিপ্রায় থেকে তারা বাঙালির একটি ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ব্যবহার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে নানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে সব জেলা এবং উপজেলার নেতারা বিতর্কিত প্রার্থীদের পরিচয় গোপন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে তালিকা পাঠিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি  ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর তা বাতিল প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এটি অবশ্যই শঙ্কার বিষয়। তবে সুস্পষ্ট কথা হলো আমাদের মনোনয়নের ব্যাপারে কতগুলো স্তর পার করে চূড়ান্তভাবে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে আসে। কাজেই এদের যারা চিহ্নিত করে নাই অথবা এদের পরিচয় যারা গোপন রেখেছে, যে স্তরে বা সংগঠনের যে পর্যায়ে এটি গোপন করেছে এদের বিরুদ্ধে, সংগঠনের সেই স্তরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা সংবাদে এটাই প্রমাণ করে এরা ঢুকে পড়েছে। শুধু ঢুকেই পড়ে নাই, এরা বিভিন্ন নেতাদের কাঁধে সওয়ার হয়েছে। কাজেই যে নেতার কাঁধে সওয়ার হয়েছে সে নেতার বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে আর কখনো কেউ এমন অপকর্ম না করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২১
এসকে/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।