সিরাজগঞ্জ: এক জামায়াত নেতার ছেলেকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন কৃষক লীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মাসুম বিল্লাহর চাচাও জামায়াতের শীর্ষ নেতা বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ৬১ সদস্য বিশিষ্ট ধুবিল ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেন সলঙ্গা থানা থানা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান নান্নু ও সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সাচ্চু। কমিটি ঘোষণার সময় সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুর, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু, ধুবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মাস্টার ও থানা কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, কমিটির নতুন নিযুক্ত সভাপতি মাসুম বিল্লাহ সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের আমশড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। আব্দুল গফুর ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে জামায়তের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার চাচা আব্দুস সামাদ থানা জামায়াতের শীর্ষ নেতা হিসেবে একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জেল খেটেছেন।
নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, মাসুদ বিল্লাহর চাচা আব্দুস সামাদ জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে শুনেছি। তবে তার বাবা জামায়াত করেছেন কি না, সেটা জানা নেই।
সলঙ্গা থানা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান নান্নু বলেন, ২০/২২ বছর আগে মাসুম বিল্লাহর বাবা-চাচারা জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। গত তিন/চার বছর ধরে মাসুম বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হন। প্রথমে তাকে যুবলীগের সদস্য করা হয়েছিল। এবার তাকে ধুবিল ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জাম মনি জানান, জামায়াত নেতার সন্তান বা জামায়াত পরিবারের সন্তান হয়ে থাকলে সলঙ্গা থানা কৃষক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানা জামায়াতের আমির হোসেন আলী জানান, আব্দুস সামাদ ও তার ভাই আব্দুল গফুর জামায়াতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও কোনো পদে ছিলেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক লীগের নবনিযুক্ত সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমি বা আমার বাবা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
এসআই