সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় ডিস ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত পাঁচ জন। এঘটনায় গুলি বর্ষণের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আশুলিয়ার পূর্ব নরশিংহপুর মানিকগঞ্জ পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আকাশ, রহুল-আমিন, আল-আমিন ও পারভেজসহ আরও একজন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হটাৎ করে একপাশ থেকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ শাহাজালাল শাউনের ওপর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ইমনের গ্রুপ হামলা চালায়, পরে তাদের ভেতর সংঘর্ষ হয়। সবার হাতেই দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, পাইপ ও রাম দা ছিল। সংঘর্ষের মুহূর্তেই দুই-তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ারও আওয়াজ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই অনেকেই আহত হয়েছেন। এছাড়া আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে আশেপাশে থাকা দোকানগুলো ভাঙচুর করেন তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ শাহাজালাল শাউন বাংলানিউজকে বলেন, ইমন ও আমি শেয়ারে ডিস ব্যবসা পরিচালনা করছি। ইমন এখন এসে আমার শেয়ারের ব্যবসাও নিয়ে নিতে চায়। বিষয়টি নিয়ে আজ রাতে প্রায় অর্ধশতাধিক ছেলে নিয়ে আমার ওপরে হামলা চালায়৷ পরে আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে ইমনের নির্দেশে মেহেদী নামের একজন আমাদের ওপর দুই-তিন রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। আমাদের চার-পাঁচ জন ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে৷ আমি বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে যাচ্ছি৷
অন্য দিকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য ইমন বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঘটনার সময় উত্তরা ছিলাম। আমি ঘটনার পর এসে শুনি এসব হয়েছে এখানে। আমি বিষয়টি জানি না।
গুলিবর্ষণের অভিযুক্ত মেহেদী হাসান জয় বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল শাউন ভাই আমাকে ধরে অনেক মেরেছেন। পরে স্থানীয় নেতারা মিলিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আজও আমাকে মারার জন্য ডেকেছিলেন, আমি যাইনি দেখে তারা আমাদের মেরেছেন। গুলির আওয়াজ আমিও শুনেছি। সেটা শুনে দৌড়ে পালিয়েছি। তবে আমি গুলি কই পাবো? আমি তো আরও ভয়ে পালিয়েছি।
ঘটনার পরপরই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন আশুলিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুমন। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি।
তবে বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার পবিত্র কুমার বলেন, গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ভিত্তিহীন৷ সেখানে আমাদের অফিসার গিয়ে রাতেই তদন্ত করে এসেছেন৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
এসএফ/এসআইএস