ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ববিতে কর্মসূচি পালন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
ববিতে কর্মসূচি পালন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ সময় উভপক্ষে নেতাকর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্যাম্পাসের দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বল্পসময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত দুজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। যে যার মতো করে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলাদা আলাদা কর্মসূচিও পালন করে আসছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রায়ই বিবাদে জড়ায় পক্ষগুলো।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসেও পৃথক কর্মসূচি পালন ঘোষণা করে পক্ষগুলো। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর নিচতলায় ছাত্রলীগের রক্তিম-ইভান এবং সিফাত-রিদম গ্রুপ বিবাদে জড়ায়। পরে তা হাতাহাতি ও মারামারিতে গড়ায়। এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন ক্যাম্পাসে থাকা সাংবাদিকরা। আজম খাঁন ও তারিকুল ইসলাম নামে দুজন সংবাদকর্মী মারধরের শিকার হন।

হামলায় আহত আজম খাঁন জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটি মেয়র ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অনুসারী ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের দৃশ্য ধারণ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আল সামাদ শান্তসহ ৩-৪ জন ছাত্রলীগের কর্মী সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য সামগ্রী কেড়ে নেন। পরে সেগুলো আনতে গেলে তারা মারধর করেন।

এ বিষয়ে জানতে আল সামাদ শান্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, কর্মসূচি পালন নিয়ে সংঘর্ষ নয়, তবে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই গ্রুপকে দুদিকে বিভক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যতটুকু জেনেছি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সময় সংবাদকর্মীরা ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় একজন সাংবাদিকের মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন হয়তো তার সঙ্গে কিছু একটা হয়েছে। তবে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই সেটি আমরা উদ্ধার করে সাংবাদিককে দিয়ে দিয়েছি। আহত সাংবাদিকদের খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলেছি।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।