ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি

ঢাকা: আগামী ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ও বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

ড. মোশাররফ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিকামী জনগণকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে কারণে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক বেতার কেন্দ্রকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিএনপি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে আগামী ২৭ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক চিরস্মরণীয় ঘটনাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।  

২৭ মার্চ দুপুর ২টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির নেতারা, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা, দলীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ সর্বস্তরের জনগণ স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনা কেন্দ্র কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানাবে। আমরা দেশের সকল জনগণ, সংশ্লিষ্ট সকল নেতা, দলীয় নেতাকর্মী ও  শুভাকাঙ্ক্ষীদের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।  

তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি গঠন করেছিলাম উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের পরের বাংলাদেশের ৫০ বছরের ঘটনাবলীর প্রকৃত ইতিহাস জনসম্মুখে তুলে ধরা। কেননা আমরা লক্ষ্য করেছি যারা সরকারে আছে তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ও বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসকে তাদের সুবিধামতো করে প্রচার করছে এবং এই বিকৃত মিথ্যা প্রচার দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সেই আলোকে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ঘটনা জনসম্মুখে তুলে ধরা। আমরা বিশ্বাস করি যে জাতি তার ইতিহাস সঠিকভাবে জানে না, সে জাতি টেকসইভাবে উন্নয়ন-উন্নতি করতে পারে না। আজকে সকলের কাছে পরিস্কার বর্তমান সরকার শুধুমাত্র গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাস তারা তাদের নিজেদের মতো করে প্রচার করে দেশকে একটা বড় বিভ্রান্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আজকে আমরা ধ্বংসের প্রায় কিনারায় পৌঁছে গেছি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি।

ড. মোশাররফ বলেন, আমরা সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন করেছিলাম ২০২১ সালের ১ মার্চ। তারপর ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা দিবস। ৭ মার্চ রেসকোর্সের ভাষণ, ৯ মার্চ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর পল্টন জনসভার ভাষণ দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। সারা বছরের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু মার্চে আবার করোনা দেখা দেয় এবং সরকারের বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে আমাদের সকল কর্মসূচি তেমন প্রকাশ্যভাবে পালন করতে পারিনি। তবে সেই সময়ে আমরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো জাতির সামনে তুলে ধরেছি, পালন করেছি। সর্বশেষ গত ২ সপ্তাহ ধরে সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি পালন করছি। আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। কেন না আমাদের অনেক কর্মসূচি ২৬ মার্চের মধ্যে শেষ করতে পারছি না। রচনা প্রতিযোগীতার পুরুস্কার বিতরণ আগামী মাসে করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
এমএইচ/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।