ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছরেও দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি, বরং বাড়ছে। দুর্নীতিবাজরা সরকার ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকায় দেশে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
রোববার (২৭মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ‘যে দেশে প্রধান বিচারপতি বিচার না পেয়ে দেশ থেকে পালাতে হয়, সেখানে আমরা ন্যায় বিচার আশা করি কীভাবে? যারা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারাও সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে স্বীকৃতি বঞ্চিত। অনেক ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের লোকেরা দুর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সদস্য অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের বাইরের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে অমুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কথা ছিল গরীব-ধনী, মালিক-শ্রমিক, সরকারি দল, বিরোধী দলের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। থাকবে না ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরে ভেদাভেদ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সাম্য, মানবাধিকার ও সুশাসন নেই। হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ ডাস্টবিনের পাশে খোলা আকাশের নিচে কাক-কুকুরের সঙ্গে খাবারের জন্য লড়াই করছে। হাজারো মানুষ বস্ত্র, চিকিৎসার জন্য হাহাকার করছে। সাম্য আজ কোথায়?
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশঃ সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমেদ, সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. মো. আক্তারুজ্জামান হামিদী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ লুৎফুর রহমান, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সেক্রেটারি মোয়াজ্জেম হোসেন তুহিন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্ট্রার কামরুল হক, ডা. রিফাত আল মাজিদ, ইউসুফ হোসেন বাচ্চু, মুফতী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুফতী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান হিফজ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড