ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে দেশবাসী চাপাহাসি হাসে, তা প্রধানমন্ত্রী নিজেও ভাল করেই জানেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (৯ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন একটি গোষ্ঠী সরকার উৎখাত করতে চায়, আমাদের অপরাধটা কী? কোথায় ব্যর্থ হয়েছি? জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে, টানা ৩ বার ক্ষমতায় রেখেছে এজন্য জনগণকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপরোক্ত কথা শুনে মনে হবে তিনি যেন ভূতের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেশের মানুষ যে তার এ কথা শুনে চাপাহাসি হাসবে তা তিনি ভাল করেই জানেন। কেন যে নোবেল কমিটি প্রধানমন্ত্রীর নাম তাদের কমিটিতে তুলছে না, তা বুঝতে পারছি না।
রিজভী বলেন, বার বার জণগণের ভোট ডাকাতি, দিনের ভোট রাতে করে বলছেন- জনগণ আপনাদের বারবার ক্ষমতায় বসিয়েছে। লাখ লাখ ডলার খরচ করে লবিষ্ট নিয়োগ দিয়ে, অন্য দেশের কাছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব বন্ধক রাখার শর্তে ক্ষমতায় টিকে থেকে অন্যকে সবক দিচ্ছেন। একটি প্রবাদ আছে-চুরি তো চুরি আবার ‘সিনাজুরি’। এটি আপনার বক্তব্যের বেলায় শতভাগ প্রযোজ্য।
বিএনপির এ নেতা তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি কি মনে করেন না যে, দিনের ভোট রাতে করেছেন ? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো একের পর এক কালো আইন করে মানুষের বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছেন? নির্দোষ সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকিয়ে রেখে রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন? দেশকে বিরোধী দল শূন্য করতে ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, জাকির, সুমন, জনিসহ হাজার নেতা-কর্মীকে গুম, খুন করিয়েছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে লাখ লাখ কর্মীকে বন্দি করে রেখেছেন এবং এ মামলার বেড়াজালে প্রতিনিয়ত হয়রানীর আবর্তে তাদের বন্দি করে রেখেছেন।
রিজভী আরও বলেন, উন্নয়নের নামে দলীয় নেতা-কর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়ে দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারের ব্যবস্থা করে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, ব্যাংক, বীমা ও শেয়ার বাজার ধ্বংস করেছেন, সরকারি দলের সিন্ডিকেটকে লুটের সুযোগ করে দিতে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন করার সুযোগ দিয়েছেন, মানুষকে বেগুনের পরিবর্তে মিষ্টি কুমড়া, তেল ছাড়া রান্না অথবা সয়াবিনের পরিবর্তে বাদাম তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২২
এমএইচ/জেডএ