চাঁদপুর: পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবসহ নয়জনের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমানের আদালতে আসামিরা হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন-চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী, সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান ঢালী, মেরাজ আহমেদ চোকদার, ইখতিয়ার উদ্দিন শিশু, শামসুল আলম সূর্য, মাসুদ মাঝি, খোকন মিজি ও সদস্য ইয়াসিন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ মার্চ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ বাদী হয়ে ৮৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
মামলায় পুলিশ উল্লেখ করে, ঘটনার দিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ওই সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ৮০-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করেন। তারা পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেন। এ ঘটনায় ৮৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ নয় আসামি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার তারা চাঁদপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে আবার জামিন চাইলে বিচারক তা না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি অ্যাডভোকেট রণজিৎ রায় চৌধুরী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আসামিরা পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেন এবং তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ করার সময় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দেন।
এদিকে চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র নেতাদের জামিন না মঞ্জুরের খবর পেয়ে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণে এসে তাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
এসআই