ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘মন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
‘মন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি' জিএম কাদের ফাইল ছবি

ঢাকা: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের কোনো দরদ নেই। বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সরকার বুঝে, না বুঝে সমর্থন দিচ্ছে। কৃত্রিম সংকট মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে সংশ্লিষ্টরা। মন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে সরকার যেনো ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।

মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির কো- চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, বিগত সপ্তাহে বাজারে সয়াবিন তেল ছিল না। কিন্তু এখন বিভিন্ন গুদাম থেকে শত শত বোতল সয়াবিন তেল উদ্ধার হচ্ছে। সরকার জ্বালানি তেল, জ্বালানি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে  দিয়েছে। এ কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে অনেক, মানুষ সংসার চালাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মানুষের জীবনে স্বস্তি নেই, শান্তি নেই। সাধারণ মানুষ এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়।

এসময় জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে দেশের সাধারণ মানুষ। করোনার কারণে অনেকেই কাজ হারিয়েছে, আবার প্রতিদিন বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তার ওপর প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। খেটে খাওয়া মানুষ অবর্ণীয় কষ্টে আছে, দেখার যেন কেউ নেই। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে রেশনিং সিস্টেম চালু করতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। সরকার টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে এমন বাস্তবতা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। ওয়ার্ড ভিত্তিক রেশন কার্ড চালুর মাধ্যমে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং সালমা ইসলাম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাসচিব আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা (খুলনা বিভাগ), অ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (রাজশাহী বিভাগ), ফকরুল ইমাম (ময়মনসিংহ বিভাগ), অ্যাডভোকেট. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (চট্টগ্রাম বিভাগ) এবং লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি (ঢাকা বিভাগ)।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।