ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ট্রেন মিস না করতে তথ্যপ্রযুক্তিতে আ. লীগ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দাবি করেছেন বক্তারা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুদিন ব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি এ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করেছে।
দুইদিন ব্যাপী এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের বাছাইকৃত ২৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। আমরা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের ট্রেন মিস করেছি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ট্রেন মিস করতে পারি না।
পরিবর্তনশীল বিশ্বে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।
সিলিকন সিটির প্রতিষ্ঠান, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দেশি-বিদেশি মেধাবীরা এ কনফারেন্সে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন বলা জানান আওয়ামী লীগের এ কেন্দ্রীয় নেতা।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দূরদর্শিতার জন্যে জাতীয় শিক্ষা কমিশনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন বিজ্ঞানীকে, ড. কুদরত ই খোদা। বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা প্রণয়ন করতে এ কমিশন রিপোর্ট প্রদান করলেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্যে বাস্তবায়ন করতে পারেননি। পরের সরকারগুলো লুটপাটে ব্যস্ত ছিল বলে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়ে।
গত ১৩ বছর ধরে শেখ হাসিনা সামনে থেকে আবারও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে।
দেশে এখন ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। শেরপুরের তৃষ্ণা ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। সরকার ইন্টারনেটকে গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ঠাট্টা করতো, যে দেশে ৪০ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ নেই সেই দেশ কীভাবে ডিজিটাল হবে! অথচ যদি সততা থাকে কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়, সেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নীত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মহামারি করোনার সময় ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হলেও অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হেয়েছে। এছাড়া মামলার বিচারকাজও সম্পন্ন হয়েছে অনলাইনেই।
করোনাকালীন সময়ে আড়াই লক্ষ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে অনলাইনে। এসময় ১ কোটি ৭৫ লাখ ডিজিটাল ফাইলের কাজ শেষ করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইইইর ইতিহাসের প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট ড. সাইফুর রহমান, বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং থাইল্যান্ডের এআইটির বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. জয়শ্রী রায়।
এ পর্যন্ত ৬৪৮টি পেপার ও পোস্টার জমা পড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা শতাধিক পেপার জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দরটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ৪ নভেম্বর, ২০২২
এনবি/এসআইএস