ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২২
‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাবে’ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাবে: জোনায়েদ সাকি

ঢাকা: গণসংহতি আন্দোলনের সংগ্রামের দুই দশক এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৭ বছর উপলক্ষে সরকারের পদত্যাগ ও ফ্যাসিবাদের পতনে আন্দোলন জোরদার এবং ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটাতে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমম্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, হাসান মারুফ রুমী, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায়, ইমরাদ জুলকারনাইন ইমন, তরিকুল সুজন, কেন্দ্রীয় সদস্য সৈকত মল্লিক, অঞ্জন দাস, উবা থোয়াই মারমা, অপূর্ব নাথ, এস এম আমজাদ হোসেন, মিজানুর রহমান মোল্লা, আলিফ দেওয়ান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সদস্য বাবুল হোসেনসহ বিভিন্ন জেলা নেতাকর্মীরা।

সমাবেশ পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।

সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ভোটাধিকার হরণ করেছে। দেশের সার্বভৌমত্বকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। লুটপাট করে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকে প্রায় দেউলিয়া করেছে। টাকা পাচার করে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। সংবিধানের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে, এ সংবিধান জনগণের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বরং স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে। সুতরাং এ সংবিধান সংস্কার করে একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশ আরও বিপর্যয়ের দিকে যাবে।

তিনি বলেন, দেশকে সামগ্রিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য জনগণের রাজনৈতিক শক্তিকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নির্বাচিত করতে হবে। আমরা গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, শাসনতন্ত্র বদলের জন্য লড়াই শুরু করেছি। জনগণের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।

আবুল হাসান রুবেল বলেন, এ সরকার ভোট ডাকাত সরকার, মানুষের জবান বন্ধ করার সরকার, টাকা পাচারের সরকার, মিথ্যা কথা বলার সরকার, ভয় দেখানোর সরকার, এক কথায় এ সরকার একটা জালেম সরকার। জালেম সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত জায়গায় মানুষ জেগে উঠছে।

দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, জনগণ ভালো নেই, সরকার ভালো আছে, মন্ত্রীরা ভালো আছে। মন্ত্রীরা বিদেশে টাকা পাচার করে সেখানে ভবিষ্যৎ গড়ছে। কিন্তু সরকার জনগণের কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না।

তাসলিমা আখতার বলেন, শ্রমিকরা বাঁচার মতো মজুরি পাচ্ছে না। নারী পুরুষ কেউই অধিকার পাচ্ছে না। নারীরা আরও বেশি নিপীড়নের শিকার। চাকমা মারমা, বম, সাঁওতাল, মান্দি, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিমসহ বহু জাতিগোষ্ঠীর দেশ বাংলাদেশ অথচ সরকার বিভাজন সৃষ্টি করে ফায়দা লুটছে। এ দেশটা যাতে সবার হয় তার জন্য সবাই মিলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই গণসংহতি আন্দোলন কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের কথা বলছে। নিপীড়িত জাতিসত্তার কথা বলছে। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নাজার আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবনসহ বিভিন্ন জেলা ও থানা কমিটির নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।