ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে সমালোচনার মুখে আ.লীগ নেতা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে সমালোচনার মুখে আ.লীগ নেতা!

নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এডিট করে নিজের ছবি বসানোর অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

গত বুধবার (২ নভেম্বর) রাতে মোহাম্মদ মজিবুর রহমান নামে এক ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবুর রহমান।

তার দেওয়া ওই পোস্টে লিখেছেন ‘ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন’।

সমালোচনার মুখে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, একটি স্টেজের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান দাঁড়িয়ে আছেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সচেতন মহলের দাবি, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেত্রীর ছবির সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন মজিবুর রহমান।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তি মজিবুর রহমান নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবিটি এডিট করে ওবায়দুল কাদেরের জায়গায় নিজের ছবি বসিয়েছেন তিনি। একজন সিনিয়র নেতা হয়ে মজিবুর রহমানের এমন কাজ অন্যায়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ কর্মী বলেন, মজিবুর রহমান সাহেব একজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে তিনি একটানা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিছুদিন পূর্বে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার দ্বারা এমন প্রতারণামূলক কাজ আমরা আশা করি না। এটা খুবই দুঃখজনক।  

জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবুর রহমান জানান, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এটা কোনো এডিট করা ছবি না। এটা সত্যিকারের ছবি। যারা দাবি করছে এটা এডিট করা ছবি, তাদেরকেই জিজ্ঞেস করেন এই ছবি কিভাবে এডিট হলো। আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে। এই ছবিটি আওয়ামী লীগের একটা অনুষ্ঠানে তোলা। যে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আমি ছিলাম অনুষ্ঠানের সভাপতি। আমার রক্তে আওয়ামী লীগ আছে, আমি এসব এডিট করা ছবির মধ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, আমি এতো কষ্ট করে জেলা পরিষদের সদস্য হলাম। আমাকে নিয়ে এতো খারাপ কিছু লিখেন কেনো? ভালো কিছু তো লিখতে পারেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। যদি জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর (তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী) নির্বাচিত হতো তাহলে সে লুটেপুটে খেতো। আমিতো সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছি, কোনো চাঁদাবাজি করি না। তাহলে আমাকে নিয়ে ভালো কিছু লিখেন না কেনো?

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২২
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।